স্টাফ রিপোর্টার::
সঙ্গে সুনকরোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেছেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। ২৪ মার্চ বিকেল সাড়ে ৪টায় দেশের সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণের সাথে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আহমেদ কায়কাউস। ভিডিও কনফারেন্সে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে সংযুক্ত হন জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ। ভিডিও কনফারেন্সে বিভিন্ন নিদের্শনা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসককে। ঔষধ ও নিত্যপণ্যেও দোকান ছাড়া সকল প্রকারের দোকানপাট বন্ধ রাখার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান বিপিএম; সিভিল সার্জন ডা: মো: শামস উদ্দিন; জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবীর ইমন, সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন; সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী; অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম; অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ প্রমুখ। ভিডিও কনফারেন্টে নি¤েœাক্ত নির্দেশনা দেওয়া হয় জেলা প্রশাসককে।
নির্দেশনা গুলো হলো, ১. ঔষধের দোকান ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া সকল প্রকার মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ রাখতে হবে। ২. সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করতে হবে। ৩. গণপরিবহন চলাচল সীমিত থাকবে। ৪. বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগকে নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। ৫. করোনা ভাইরাসের অজুহাতে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করা যাবে না। ৬. উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও থানার অফিসার ইনচার্জ এর সমন্বয়ে বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। ৭. জ্বর/সর্দি/কাশি/করোনা’র লক্ষণ রয়েছে এমন ব্যক্তি গণপরিবহনে চলাচল করতে পারবেন না। ৮. হোম কোয়ারেন্টইন আছেন এমন ব্যক্তির পরিবারের সদস্যগণ জনসমাবেশ/ধর্মীয়/সামাজিক/সাংস্কৃতিক আয়োজনে অংশগ্রহণ করবেন না। ৯. জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কোন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবেন না। নিজ নিজ আসাবস্থলে অবস্থান করতে হবে। ১০. জেলা পর্যায়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পরিবহনের জন্য এম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে হবে। ১১. ২৬ মার্চ হতে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়ার কারণ হচ্ছে প্রত্যেকটি পরিবার হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য।