হাওর ডেস্ক ::
সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুবিধার্থে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) থেকে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে মাঠে রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী করোনাভাইরাসসংক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা পর্যালোচনা করছে। বিশেষ করে বিদেশফেরত ব্যক্তিদের কেউ নির্ধারিত কোয়ারেন্টিনের বাধ্যতামূলক সময় পালনে ত্রুটি বা অবহেলা করছে কি-না, তা পর্যালোচনা করছে।
এদিকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) থেকে পুরোদমে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। মানুষকে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়ে মাইকিং করছে স্থানীয় প্রশাসন। সেনা সদস্যরা বিদেশফেরত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা, জনসমাগম রোধ করা, বাজার মনিটরিংসহ নানা কাজে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করছেন।
এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এরপর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য বিপণিবিতান বন্ধ দেখা যায়। রাস্তাঘাটেও লোকজন খুব কম লক্ষ্য করা গেছে। সেনা সদস্যদের টহলের খবরে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছে কম।
গতকাল সকাল থেকেই অনেক জেলায় বিপণিবিতান বন্ধ রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে জনসমাগম রোধ, সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কিছু দোকান খোলা রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মানুষের ভিড়ও কমা শুরু হয়।
চিকিৎসাদলসহ সেনা সদস্যরা বিভিন্ন উপজেলায় গতকাল থেকেই কাজ শুরু করেছেন। সেই সঙ্গে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা শিবিরেও কাজ করছে তাঁরা। রাজবাড়ী, ফরিদপুর, খুলনা, পঞ্চগড়, নাটোর, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়ও গতকাল থেকে কাজ করছে সেনাবাহিনী।