বিশেষ প্রতিনিধি::
করোনাভাইরাসের কারণে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান স্থগিত হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে নিজ উদ্যোগে সীমিত পরিসরে একাত্তরের মহান শহিদদের স্মরণ করা হয়েছে। হৃদয়ের গহীন থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ ও লালনকারীর অনেকেই নিজ বাসায় স্মরণ করেছেন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীদের। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন নিজ বাসায় অস্থায়ী শহিদ মিনার নির্মাণ করে সপরিবারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি পোস্টের পর অনেকেই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। জানিয়েছেন স্বাধীনতা দিবসের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
সারাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে হোমকোয়ারেন্টাইনে আছেন সচেতন মানুষজন। ব্যারিস্টার ইমনও বর্তমানে ঢাকা থেকে স্ত্রী ব্যারিস্টার ফারজানা শীলা ও একমাত্র মেয়েকে নিয়ে সুনামগঞ্জ শহরের বাড়িতে অবস্থান করছেন। গত কয়েকদিন করোনা সচেতনতাবিষয়ক প্রশাসনিক সভায়ও সময় দিয়েছেন তিনি। এখন বাসায় স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে আছেন।
জানা গেছে ২৫ মার্চ কালরাতেই প্রথম প্রহরেই একাত্তরের শহিদদের স্মরণ করেন তিনি। পরে স্ত্রী ও সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে অর্ধনমিত জাতীয় পতাকার পাশেই তৈরি লাল-শাদা কাগজে বাঁশবেত দিয়ে একটি প্রতহীকী শহিদ মিনার নির্মাণ করেন। সকালে শহিদ মিনারের বেদিতে নগ্ন পায়ে তিনি স্ত্রী ও কন্যা নিয়ে শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান।
ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর প্রয়াত এডভোকেট আব্দুর রইছের কনিষ্ট ছেলে। তার মা প্রয়াত রফিকা রইছও আমৃত্যু জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এই পরিবারটি আওয়ামী অন্তপ্রাণ হিসেবে পরিচিত।
ব্যারিস্টার এম. এনামুল কবির ইমন বলেন, আমার বাবা ও মায়ের কাছ থেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সংক্রমিত হয়ে প্রতি বছর শহিদদের স্মরণ করে আসছি। কিন্তু এবার করোনার কারণে সরকারিভাবেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। মনটা মানছিলনা। তাই অলস সময়ে বাসায় বসেই স্ত্রী ও সন্তানের সহায়তায় শহিদ মিনার নির্মাণ করে শহিদদের শ্রদ্ধা জানালাম। এখন করোনাযুদ্ধে ঘরে থেকে জয়ী হতে হবে।