হাওর ডেস্ক::
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামিকে সোমবার রাতে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হলে আদালত তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা জারির লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঢাকার সংশ্লিষ্ট জেলা জজ আদালত বসেছে আজ বুধবার।
আজ যেকোনো সময় জারি হতে পারে ক্যাপ্টেন মাজেদের মৃত্যু পরোয়ানা।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল বিষয়টি দ্য বিজনিস স্ট্যান্ডার্ডের কাছে নিশ্চিত করেছেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামিকে সোমবার রাতে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটিটিসি)।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখে ধুলো দিতে আবদুল মাজেদ তার চেহারা পরিবর্তন করেছেন বলে জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা।
সিটিটিসি আরও জানায়, আবদুল মাজেদ সর্বশেষ ভারতে পলাতক ছিলেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তিনি সম্প্রতি ঢাকায় ফেরেন।
মঙ্গলবার তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে আনা হলে আদালত তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হন বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইতিহাসের নির্মম ও কলঙ্কজনক ওই ঘটনার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় বিচারিক আদালত ১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আপিল বিভাগ ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন।
এর আগে, ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর অন্য পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে এখনো পাঁচজন বিদেশে পলাতক রয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সেই খুনিরা হলেন কর্নেল খন্দকার আব্দুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন ও লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী।