স্টাফ রিপোর্টার::
গত বৃহষ্পতিবার সুনামগঞ্জের দোয়ারবাজারের জালালপুরে হোম কোয়ারেন্টেইনে থাকা প্রবাসী জয়নাল আবেদীন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. শামস উদ্দিন।
দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের ওই প্রবাসী গত ১৮ মার্চ উমান থেকে দেশে ফিরেন তিনি । হোমকোয়ারেন্টাইন থেকে ওইদিনই তিনি বের হবার কথা ছিলেন। ওই প্রবাসী করোনা আক্রান্ত ছিলেন কী-না, যাচাইয়ের জন্য কীট নিয়ে ওইদিনই নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যবিভাগ। সাবধানতার সঙ্গে দাফন করা হয়েছিল তাকে।
স্থানীয়রা জানান, জয়নাল আবেদীন গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬ টায় হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। তার বুকে পেটে ব্যাথা অনুভব করেন। শেষে এলাকার চিকিৎসক এসে তাকে ব্যাথার ইনজেকসন দেন। ইনজেকসন দেবার ২০ মিনিটের মধ্যেই জয়নাল মারা যান।
খবর পেয়ে দোয়ারাবাজার হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. মো. দেলোয়ার হোসেনসহ চিকিৎসকেরা নিহতের বাড়িতে যান। ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন নিহত জয়নাল আবেদীনের জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট ছিল না। অর্থাৎ করোনার কোন লক্ষণ ছিল না।
স্থানীয় কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মো. কামাল উদ্দিন সে সময় জানান, বাড়িতে আসার পর থেকে জয়নাল আবেদীন তাদের পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তিনি কখনো কোনো সমস্যার কথা জানাননি। জয়নাল আবেদীনের বড় বোন মরিয়ম বিবি জানান, তার ভাইয়ের পেঠে কিছু সমস্যা ছিল। এটি পুরোনো। এ ছাড়া সর্দি, জ্বর, কাশিসহ অন্য কোনো সমস্যা ছিল না। তিনি সুস্থ ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করেই পেঠ ব্যথায় তিনি চিৎকার করতে থাকেন। এরপর তিনি মারা যান।
সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. শামছুদ্দিন জানিয়েছেন, যেহেতু ওই ব্যক্তি প্রবাসী এবং হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না। করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্টই নেগেটিভ এসেছে।