বিশেষ প্রতিনিধি::
জ্বর ও শ্বাস কষ্ট নিয়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বখতারপুর গ্রামের শ্রমিক যুবক মারা যান মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টায়। বুধবার সকালে তার নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যবিভাগ। আজ তার নমুনা সংগ্রহের ফলাফলে করোনা উপসর্গ ছিলনা বলে জানা গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্রে। তবে এখনো স্থানীয়ভাবে ফলাফল এসে পৌছেনি।
২২ বছর বয়সি ওই যুবক নরসিংদীতে একটি ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মৃত্যুর পর পর ওই যুবকের পরিবারসহ তার পাড়া এবং তার লাশ দেখতে আসা দোয়ারাবাজার সদরের মাঝের গাঁওয়ের দুই স্বজন পরিবারকে লকডাউনে রেখেছে প্রশাসন।
তবে এ ঘটনায় সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে মুসলিম রীতি-নীতি অনুযায়ী লাশ গোরদাফন করতে যেয়ে। নিহতের দুই ভাই ও বাবা লাশ বহনের জন্য মসজিদের খাটিয়া চেয়েও পাননি। মসজিদের ইমাম মোয়াজ্জিনসহ গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অনুমতি না মিলায় খাটিয়া ছাড়াই দুই ভাই ও বাবা শাদা কাফনে মোড়ানো হতভাগা যুবকের মরদেহ কাধে তুলে গোপনে কবরস্থ করেছেন। এমন একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এই সংকটে মানুষের অনুভূতি লোপ পাওয়ায় বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন মানবিক মানুষেরা। তবে গোর দাফনের সময় থানা পুলিশ ও প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা গ্রামের মানুষের ক্ষোভের মুখে অসহায় ছিলেন বলে জানা গেছে।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি আবুল হাশেম বলেন, আমরা গোর দাফনের সময় উপস্থিত ছিলাম। তবে গ্রামের লোকজন মসজিদের খাটিয়া লাশ বহনে ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় ভাই ও বাবা কাধে নিয়ে লাশ দাফন করেছেন।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. শামসুদ্দিনে বলেন, আমরা গতকাল নমুনা পাঠিয়েছি। তবে এখনো আমাদের হাতে এসে ফলাফল পৌছেনি।