স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জে দ্বিতীয় কিস্তির ত্রানের চাল বিতরণ না করায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেবার নির্দেশনার পরই শনিবার বিকেলে তড়িগড়ি করে তালিকাভূক্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরুল হক। শনিবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে তড়িগড়ি করে লোক জমায়েত করে তিনি চাল বিতরণ করলেও অনেকে আলু কম পরিমানে পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে প্রায় দশদিন আগে দ্বিতীয় কিস্তির করোনা অসহায়দের সহায়তার চাল মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের অনুকুলে বরাদ্দ দেওয়া হয়। জেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান ৫-৬ দিন আগে ত্রাণ বণ্ঠনকাজ সম্পন্ন করলে মোহনপুর ইউনিয়নের জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. নূরুল হক তালিকা সম্পন্ন করে এক সপ্তাহ আগে জমা দেবার পরও ত্রাণ বিতরণে সময় ক্ষেপন করেন।
এ বিষয়টি আজ শনিবার অবগত হয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসমিন নাহার রুমাকে জাতীয় পার্টির ওই ইউপি চেয়ারম্যান মো. নূরুল হকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে এ নির্দেশের খবর পেয়েই চেয়ারম্যান তড়িগড়ি করে বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বারদের ডেকে এনে লোক জমায়েত করে তড়িগড়ি করে ত্রাণ বিতরণ করেন।
ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ বলেন, শনিবার চেয়ারম্যান হঠাৎ ফোন দিয়ে বলেন ত্রাণ দিবেন। পরে আমরা ট্যাগ অফিসারের সামনে ত্রাণ বণ্ঠন করেছি। আমাদের এলাকায় ত্রাণ বণ্ঠনে কোন সমস্যা হয়নি।
ট্যাগ অফিসার উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা বলেন, শনিবার আমি নিজে উপস্থিত থেকে ত্রাণ বিতরণ কাজ শেষ করেছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, আমি কারণ দর্শানোর নোটিশের নির্দেশ দেবার পর চেয়ারম্যান অফিসারকে বলেছেন ভৈরব থেকে আলু আসেনি বলে ত্রাণ বিতরণ করেননি। তিনি বলেন, আলু পাওয়া যায়নি এটা কারণ হতে পারেনা।