বিশেষ প্রতিনিধি::
জ্বর, সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত তরুণের বাবা-ভাই, আত্মীয়-স্বজন কেউই হাসপাতালে এলেন না। ২৫ বছর বয়সী তরুণ জসিম উদ্দিনকে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ও পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে হাসপাতালের একজন স্বাস্থ্য কর্মীকে দিয়ে সিলেটের শামছুদ্দিন হাসপাতালে পাঠালো।। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার ঘটনা এটি।
হাসপাতালের ডাক্তার ও কর্মচারীরা জানান, ছাতকের উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আমেরতল গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জসিম উদ্দিন নারায়ণগঞ্জের শ্রমিক ছিলেন। সম্প্রতি জ¦র, সর্দি ও কাশি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে নোয়ারাই ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে বোনের বাড়িতে ফিরেন এই শ্রমিক। সেখান থেকেই বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টায় ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একাই আসেন জসিম উদ্দিন। এখানে আসার পর অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যান এই তরুণ। অনেক সময় মেঝেতেই পড়ে থাকেন এই রোগী।
রাত ১১ টায় ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. রাজিব চক্রবর্তী জানান, রাত সাড়ে ৮ টায় জ¦র, সর্দি ও কাশি নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা ওই রোগী অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে পড়ে যান। চোখে মুখে পানি দিলে তার জ্ঞান ফিরে। পরে কিছু খাইয়ে প্যারাসিটামল খাওয়ানো হয় রোগীকে।
এরপর উত্তর খুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেনের মাধ্যমে তার বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কেউই আসতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতালের একজন স্টাফ দিয়ে রোগীকে সিলেটের শামছুদ্দিন হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে এই রোগী’র করেনা পজিটিভ হতে পারে।