হাওর ডেস্ক ::
যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে মোট ছয় লাখ ৭৭ হাজার পাঁচশ ২৩ জন এবং প্রাণহানি ঘটেছে ৩৪ হাজার ছয়শ ১৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে দুই হাজার একশ ৭৪ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৩ হাজার ছয়শ ৪০ জন। তার আগের দিন বুধবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ছয় লাখ ১৩ হাজার আটশ ৮৬ জন এবং মৃতের সংখ্যা ২৬ হাজার ৪৭ জন। ৪৮ ঘণ্টায় সেই সংখ্যা লাফিয়ে বেড়ে গেল।
যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার চারশ ৪৫ জন এবং তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় রয়েছে ১৩ হাজার তিনশ ৬৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছে ৫৭ হাজার পাঁচশ আট জন।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে মোট ৩৩ লাখ ৯৮ হাজার একশ ৪০ জনের। এ ধরনের পরিস্থিতির মধ্যেও লকডাউন খুলে দিয়ে জনগণকে কাজে ফেরানোর ব্যাপারে পরিকল্পনা করছে মার্কিন প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কোনো ধরনের রাখঢাক ছাড়াই লকডাউন খুলে দিয়ে জনগণকে কাজে ফেরানোর ব্যাপারে মুখ খুলেছেন। সে দেশে ২২ মিলিয়ন মানুষ বেকার হয়ে পড়ার ঘটনায় এবং অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেই এ ধরনের পরিকল্পনা চলছে।
আগেই মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের এক হাজার ডলার বা তারও বেশি করে অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে। গত সপ্তাহে চাকরিচ্যুত হিসেবে সরকারি সাহায্য পাওয়ার জন্য ৫২ লাখ মানুষ আবেদন করেছে। গত চার সপ্তাহে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই কোটি ২০ লাখ।
জানা গেছে, সাত জনে অন্তত একজন চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রে।
এদিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস ছড়য়ে পড়ে আক্রান্ত হয়েছে ২১ লাখ ৮২ হাজার ৮৪ জন এবং মারা গেছে এক লাখ ৪৫ হাজার পাঁচশ ১৬ জন। ফলে বিভিন্ন দেশ লকডাউন বাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত লকডাউন চলতে পারে।