হাওর ডেস্ক ::
করোনাভাইরাস মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে সভাপতি করে ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
১৭ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে এই কমিটি গঠন করে শনিবার আদেশ জারি করেছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
এই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার ৪২ দিন পর এই কমিটি করল সরকার।
কমিটিকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ এবং হাসপাতালের সেবার মান বৃদ্ধির বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া যেসব চিকিৎসক স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারকে পরামর্শ এবং স্বাস্থ্যসেবা দানকারী চিকিৎসকসহ অন্যদের উৎসাহ দিতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় সে বিষয়েও সরকারকে পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গবেষণার বিষয়েও এই কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে।
এর বাইরে গত ২৮ মার্চ আটজন জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে সরকার যে কমিটি করেছে সেই কমিটি এবং নতুন কমিটি প্রয়োজনবোধে যে কোনো কমিটির এক বা একাধিক সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারবেন। নতুন কমিটি চাইলে নতুন সদস্য নিতে পারবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খান এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শায়লা খাতুনকে কমিটিতে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সনালও কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন।
প্রসুতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ, অবসটেট্ররিকেল অ্যান্ড গাইনোকলজিকেল সোসাইটি অব বাংলাদেশর প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক রওশন আরা বেগম, আইসিডিডিআর’বি এর মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড রিসার্চ বিভাগের জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা শামস এল আরেফিন এবং জ্যেষ্ঠ এনেসথিওলজিস্ট অধ্যাপক খলিলুর রহমানও এই কমিটির সদস্য।
অন্যদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তারিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়েলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক হুমায়ন সাত্তার, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. গোলাম মোস্তফা, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিটিটের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক মো. আব্দুল মোহিতকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
সরকার শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ২ হাজার ১৪৪ জন জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ার তথ্য দিয়েছে; মারা গেছেন মোট ৮৪ জন।