তাহিরপুর প্রতিনিধি
মাটিয়ান হাওরপাড়ের রতনশ্রী গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক রেজোয়ান আহমদ (৫০)। হাওরটির ৮ কিয়ার (১কিয়ার=৩০ শতক) জমিতে তিনি ধানের চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই ধান পেকে সোনালী রং ধারণ করেছে। এদিকে প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ বার বার আগাম বন্যার সর্তকবার্তা দিয়ে বলছে দ্রুত ধান কেটে ফেলতে। রেজোয়ানও জমির ধান কাটতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু শ্রমিকরা নগদ টাকা ছাড়া ধান কাটবেন না। তাই হাতে নগদ টাকা না থাকায ধান কাটতে পারছিলেন না। এ খবর শুনে পাশ^বর্তী গ্রামের বাসিন্দা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিলেট জেলা শাখার সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, সিলেটের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর রণজিত সরকার এগিয়ে আসেন। তিনি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে আজ সকাল থেকে তার জমির ধানকাটা শুরু করেন। া
রেজোয়ান আহমেদ বলেন, ছোট ভাইদের কাছ থেকে খবর পেয়ে রণজিত দা অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সকাল এগারটা থেকে আমার জমির ধানকাটা শুরু করেন। বিকাল ৩টা পর্যন্ত তিন কিয়ার জমির ধান কাটেন। এবং ধানের আঁিট মাড়াই খলার কাছেই পৌঁছে দিয়েছেন সবাই মিলে। শ্রদ্ধা আর ভালবাসায় আমি চিরঋণী হয়ে গেলাম।
উপজেলা স্বেচ্ছসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক এমরান হোসেন বিপক বলেন, আমরা অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী মিলে উৎসবের মধ্যে দিয়ে ৪ ঘন্টায় তিন কিয়ার জমির ধান কেটেছি। সবাই ধানকেটে কিছুটা হলেও অভ্যস্থ তাই হেসে খেলেই এটি করতে পেরেছি।
ধানকাটায় জড়িত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তারা মিয়া বলেন, হাওরপাড়ে আমাদের বাড়ি , সবাই কৃষকের ছেলে। ধানরোপন আর ধানকাটাই আমাদের বংশানুক্রমিক কাজ। হাওরপাড়ে জন্মনিয়ে এ কাজটি করেননি এমন মানুষ বিরল।
রণজিত সরকার বলেন, আমি হাওরপাড়ের বাসিন্দা যদিও কর্ম ও রাজনীতিক কর্মকান্ড সিলেটে। তবুও সকল দুর্যোগে আমি হাওরবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করি।