হাওর ডেস্ক ::
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। প্রতিদিন গড়ে হাজার তিন থেকে সাড়ে তিন হাজারের মতো টেস্ট করা হচ্ছে। এতে যে পরিমাণে আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যাচ্ছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। আজ শুক্রবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বে ৪৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ। যা আরও বেশি শংকার। বাংলাদেশের ঠিক আগেই আছে পানামা (আক্রান্ত ৬,১৬৬) এবং ডমেনিকান রিপাবলিক (আক্রান্ত ৫৫৪৩)।
গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে রেকর্ডসংখ্যক ৫০৩ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬৮৬টি। মারা গেছেন ৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ জন। এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯৭৭৬টি। এসব নমুনা পরীক্ষা থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে মোট ৪৬৮৯ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১১২ জন। সুস্থতার বিপরীতে মৃত্যুহারে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশই এগিয়ে।
করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে সবার শীর্ষে আছে আমেরিকা। সেখানে মোট আক্রান্তের পরিমাণ ৮৮৬৭০৯ এবং মৃত্যু ৫০২৪৩। দ্বিতীয় স্থানে আছে স্পেন। ২১৯৭৬৪ আক্রান্তের থেকে মৃত্যু হয়েছে ২২৫২৪ জনের। গত সপ্তাহেও মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়া ইতালির পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। দেশটি এখন আছে তৃতীয় স্থানে। মোট আক্রান্ত ১৮৯৯৭৩ এবং মৃত্যু ২৫৫৪৯ জন।
ইতোমধ্যেই সরকারি ছুটি ৬ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। পুলিশ-সেনাবাহিনী মানুষকে ঘরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে দেশের অধিকাংশ মানুষই এই লকডাউন মানছেন না। বিভিন্ন অজুহাতে তারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন। অকারণেই ঘুরছেন। দুদিন আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ এখন সেই ভয়ানক সময়ে এসে পড়েছে, যে সময়টিতে ইউরোপ-আমেরিকায় করোনা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসের থেকে বাঁচতে ঘরে থাকার বিকল্প নেই।