হাওর ডেস্ক ::
চলতি মে মাসজুড়ে দরিদ্র ও দুস্থ প্রতিটি পরিবারকে দশ নয়, বিশ কেজি করে চাল দেওয়া হবে সরকারের পক্ষ থেকে। আর এই সহায়তা পাবে এক কোটি ১১ লাখ ৩৮ হাজার পরিবার। এ জন্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলায় জেলায় বরাদ্দ পাঠানো হয়েছে। চালের সঙ্গে আলু, ডাল, সাবান, আর সবজি তো থাকছেই। এমনটাই জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
আজ শনিবার তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এসব বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এপ্রিল মাসের বরাদ্দ জেলা প্রশাসকদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার আরো বরাদ্দ দেওয়া হবে। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে দরিদ্র অসহায় কোনো মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায়। বরাদ্দের ত্রাণ সামগ্রী যথাযথভাবে দরিদ্র অসহায় মানুষদের কাছে পৌঁছাতে সরকার যত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার তার সবই নিয়েছে।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, ত্রাণ মন্ত্রণালয় ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়, মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ও স্ব স্ব মন্ত্রণালয় থেকে দরিদ্র অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সাগরে মৎস্য আহরণে নিষিদ্ধের মধ্যে পড়ে থাকা ৩ লাখ ১০ হাজার মৎস্যজীবী পরিবারকে মে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ১০ টাকা কেজি দরে দরিদ্র ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাউল দিচ্ছে। এছাড়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় ১০ লাখ ৪০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখছে। তাতে সব মিলে চলতি মে মাসে সারাদেশে প্রায় দেড় কোটি পরিবার সরকারের খাদ্য সহায়তা পাবে।
কাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে এমন সব অসহায় ও দরিদ্র লোকজনদের তালিকা এরই মধ্যে সরকারের দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের হাতে এসে পৌঁছেছে। তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারের কাছে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার দায়ীত্বও নিয়েছে সরকার। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় সরকারি সব খাদ্য সহায়তা দরিদ্র পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত মার্চ মাস থেকে সারাদেশে প্রতিটি দরিদ্র পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, দুই কেজি ডাল, এক কেজি সয়াবিন তেল, দুটি সাবানসহ পল্লী এলাকায় শিশুখাদ্য, যেমন মিল্কভিটার তরল দুধ, তরমুজ দেওয়া হচ্ছিল। এখন সেই সহায়তায় পরিবর্তন এনে চাউল ১০ কেজির স্থলে ২০ কেজি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।