স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ শহরের ৪৫ বন্ধু মিলে দেবী সরস্বতির ২৯ ফুট উচ্চতার প্রতীমা তৈরি করে সরস্বতিপূজা সম্পন্ন করেছে। বিশালাকারের দেবির পায়ে অর্ঘ্য দিয়েছে হাজারো শিক্ষার্থী। ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষও পূজাউৎসবে যোগ দিয়েছেন। আয়োজকদের দাবি সারাদেশের মধ্যে দেবি সরস্বতির সর্বোচ্চ প্রতীমা তৈরি করে এই পূজা সম্পনান করা হয়েছে।
সদ্য শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে সুনামগঞ্জ শহরের ৪৫ জন তরুণ দীর্ঘ এক বছর ধরে প্রস্তুতি নেন বিশালকারের সরস্বতিদেবিমূর্তি তৈরি করে পূজা সম্পন্ন করার। বিদ্যামিত্র পূজা কমিটি নাম দিয়ে দিয়ে নিজেরা চাঁদা সংগ্রহ করে তারা গত এক বছর ধরে সুনামগঞ্জ শহরের মহিলা কলেজের পিছনের মাঠে ২৯৫ ফুট উচ্চতার সরস্বতি মূর্তি তৈরি করেন। তাদের দাবি সারা দেশে এই উচ্চতায় দেবীর কোন মূর্তি স্থাপিত হয়নি। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মূর্তি উন্মোচন করেন তারা। বুধবার সরস্বতিপূজার দিন অর্চনায় মেতে ওঠেন তারা হিন্দুধর্মাবলম্বি শিক্ষার্থীদের নিয়ে। দেবির পায়ে অর্ঘ্য দেন। মনোবাসনা পূরণের জন্য প্রার্থনা করেন। দেশ ও মানুষের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন তারা। আগামী শুক্রবার মূর্তি বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে তাদের পূঁজার আনুষ্ঠানিকতা।
বিশালাকারের মূর্তি নির্মাণ করে দেবী সরস্বতির পূজা হচ্ছে এই খবরে বিভিন্ন স্থান থেকে মূর্তি দেখতে জড়ো হন অনেকে। হিন্দু ধর্মাবলম্বি শিক্ষার্থী জনতা এসে পূজা দেন। আয়োজকরা ঝলমলে লাইটিং করেছেন। রাতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলার আর্ত-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস প্রদর্শনসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য নিত্য মজুমদার বলেন, সরস্বতি মায়ের সর্বোচ্চ প্রতীমা তৈরি করে পূজা দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের পূজাম-প দেখতে ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে অনেক মানুষ এসেছেন। তারা উৎসবে মেতেছেন। আমরা পূজা অর্চনার পাশাপাশি মায়ের কাছে দেশ ও মানুষের কল্যাণ কামনা করেছি। পূজার পাশাপাশি আমাদের অবহেলিত জেলার গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপনাকেও প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেছি।