ছাতক প্রতিনিধি::
পল্লী বিদ্যুৎতের মিটার রিডিং ছাড়া ‘গড় বিলের’ হিসাব নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার গ্রাহক। করোনাভাইরাস প্রাদুভাবের কারণে বাড়ি বাড়ি না গিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে অফিসে বসেই প্রত্যেক গ্রাহকের গড় বিদ্যুৎ বিল করা হয়েছে। কিন্তু এতে মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসের বিদ্যুৎ বিল প্রায় দ্বিগুণ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজারো গ্রাহক। তবে কর্তৃপক্ষ এই ‘গড় বিল’ করার কথা স্বীকার করে বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে তারা বাধ্য হয়েই গড় বিল করছেন। যাদের বিল বেশি হয়েছে তারা অফিসে আসলে বিল ঠিক করে দেয়া হবে। দ্বিগুণের বেশি বিদ্যু বিল আসার কারণ তিনি কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছেন না। ছাতকে গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় পল্লী বিদুৎ সমিতি উপজেলা বলেন, আমার মার্চ মাসের বিল এসেছে ৫০১ টাকা। কিন্তু এপ্রিল মাসে বাড়িতে না এসে বিল করা হয়েছে ৭৪৫ টাকা।’ এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির
জেনারেল ম্যনেজার জানান, প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে এমন গড় বিল করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে গ্রাহকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মিটার রিডাররা রিডিং নিতে পারেননি। তাই প্রত্যেক গ্রাহকের গড় বিল করা হয়েছে। এতে কয়েকজনের বিল বেশি হতে পারে বলে স্বীকার করে তিনি জানান, যাদের বিল বেশি এসেছে তারা বিলের কপি অফিসে নিয়ে আসলে ঠিক করে দেয়া হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, টেলিভিশন লাইভে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী করোনাভাইরাসের কারণে বাড়ি বাড়ি না গিয়ে গড় বিদ্যুৎ বিল করার কথা জানিয়েছিলেন। যদিও এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে কোনো লিখিত নির্দেশ আসেনি। প্রতিমন্ত্রীর
এই মৌখিক নির্দেশের কারণেই কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি অফিস থেকে গ্রাহকদের গড় বিল করেছেন। অবশ্য গড় বিল করা হলেও গ্রাহক তার বিদ্যুৎ বিল তিন মাস পরেও পরিশোধ করতে পারবেন। এর জন্য গ্রাহককে কোন বিলম্ব মাশুল গুণতে হবে না বলে জানান বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। ছাতক পল্লী বিদ্যুৎ
কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা প্রার্দুভাবের কারণে মিটার রিডাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটারের রিডিং নিতে ভয় পাচ্ছিল। এজন্য অফিসে বসেই গড় বিল করে দেয়া হয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিলের ওপর সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গড় বিল করা হলো এই কথাটা লিখে দেয়া হয়েছে ।এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ অফিসে বসে গড়
বিল করলেও ছাতক ওজোপাডিকোর কর্মকর্তারা জানান, তারা গ্রাহকদের গড় বিল
করেননি। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলছে, যাদের বিল বেশি হয়েছে তারা গোবিন্দগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের অফিসে নিয়ে আসলেই বিল ঠিক করে দেয়া হবে।
ভুইগাঁও ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার যানান, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মী আজ বৃহস্পতিবার আমাদের এলাকায় বাড়ি বাড়ি এসে বিলের কাগজ দিয়ে গেছেন, নেই কোন মিটার চেক তারপরেও, তার হাতে নেই গ্লাস, কোন সরঞ্জাম ছাড়া করোনা কালে কোন সচেতনতা ছাড়াই তারা বিলের কাজ প্রত্যেকের বাড়িতে দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের এমন কাজে যে করোনা চরাতে পারে না এ নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উটেছে।
বজলুর রহমান নামের একজন গ্রাহক অভিযোগ করে বলেন, লাইনে দাঁড়িয়ে বিল ঠিক
করতে গেলে সারা দিন কেটে যায়। এই ভোগান্তির দায় কে নেবে?