জামালগঞ্জ প্রতিনিধি::
জামালগঞ্জে সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহে তালিকা গ্রহনের জন্য উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষকদের কাছ থেকে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তবে এই তালিকায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন কৃষক।
জানা যায় গত ৫মে তালিকা গ্রহন শেষে ৬ ই মে উপজেলা নির্বাহী অফিসের সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে ফেইজে তা প্রকাশ করা হয়। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজারের বেশি কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হয়। তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগ আপত্তি প্রকাশ করে উপজেলা কৃষকলীগের ভারপাপ্ত আহবায় সামছুল আলম, কৃষক লীগ নেতা শেরন,আব্দুর রাকিব,সিদ্দিকুর রহমান,সেন্টু,মশিউর,কাউছার,সাস্তুু মিয়া,হায়দার আলী,রিয়াসত সহ কৃষকলীগের নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর দাখিল করেন।
অভিযোগে বলা হয়,উপজেলা কৃষি অফিস থেকে যে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে অনেক ত্রুটি ও অনিয়ম রয়েছে। তারা প্রকাশিত তালিকা সংগ্রহ করে উপজেলা ৫টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে মৃত ব্যাক্তি,প্রবাসী ও জমি নাই কিংবা কোন রকম বর্গা চাষীও নয় এমন ৯২১ জনের তালিকা তারা উল্লেখ করেন। তাতে ভীমখালী ইউনিয়নের মৃত ব্যাক্তি রয়েছেন ৩ জন,প্রবাসী ১১ জন এবং জমি নাই কিংবা বর্গা চাষীও নন জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নে মৃত ২ জন, প্রবাসী ১ জন, জমি করেনা কিংবা বর্গা চাষী নন ১১৯ জন,জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নে মৃত ১জন প্রবাসী ৩ জন,চাষাবাদ করেননা ৮৯ জন,বেহেলী ইউনিয়নে মৃত ১ জন প্রবাসী ১ জন চাষী নন ৬২ জন,সাচনা বাজার ইউনিয়নে মৃত ৫ জন প্রবাসী ৬ জন,জমি করেনা এমন ২০২ জনে তালিকা তৈরি করেন তারা। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তালিকা প্রকাশের পরও কৃষি বিভাগ কতৃক আরো কিছু কৃষি কার্ড গোপনে সংগ্রহ করা হয়েছে। তালিকা প্রকাশ না করে কোন কার্ড লটারীতে অন্তরভুক্ত না করতে বলা হয়েছে অভিযোগে। এ বলা হয়েছে যে,প্রকাশিত তালিকায় ২০ থেকে ২৫ জনের নামের পার্শ্বে একই মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে। এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির ক্ষতিয়ে দেখার জন্য তারা দাবী জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।