হাওর ডেস্ক ::
দেশের হাওর এলাকার ৯৮ ভাগ বোরো ধান কৃষকের ঘরে উঠেছে। আর দুইভাগ ধান পুরোপুরি না পাকায় এখনও ক্ষেতে রয়েছে। এ ধানগুলো কাটতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এরপরই হাওরের শতভাগ ধান কৃষকের গোলায় উঠবে।
রোববার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিরুজ্জামান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাওরের ৯৮ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাকি যে দুই ভাগ ধান রয়েছে তা ছিটেফোটা ভাবে রয়েছে। এরমধ্যে কেউ স্থানীয় জাত লাগিয়েছে, কেউ উপসী আবার কেউ বোরো লাগিয়েছে দেরি করে। এ ধানগুলো কাটতে কৃষকের আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। দেশের হাওরবেষ্টিত সাত জেলায় বোরো ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ লাখ ৪৫ হাজার টন। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ২০ ভাগ। এবার ধানের উৎপাদন ভালো হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দেশের হাওরবেষ্টিত সাত জেলায় বোরো ধানের উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ
হবে। হাওরের ধান নিয়ে সরকার-কৃষক উভয়ই চিন্তিত ছিল। করোনা ও লকডাউনের কারণে বাইরের জেলা থেকে ধান কাটা শ্রমিক আসতে
পারবে না। ফলের হাওরের ষোলআনা ধান কৃষকের গোলায় উঠবে কিনা, আবার আকস্মিক বন্যায় ধান পানিতে তলিয়ে যাবে ইত্যাদি ভাবনা
এতদিন কৃষক ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কারণ হাওরের এই মৌসুমের ধান দেশের মোট উৎপাদনের ২০ ভাগ।
দুই বছর আগের চৈত্রের শেষের সময় ভারী বর্ষণে হাওরের বাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে নিয়েছিল কৃষকের সোনালী ফসল। বিনষ্ট হয়েছিল সব পাকা ও আধাপাকা ধান। ধান হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন হাওরের লাখ লাখ কৃষক। এবারও সেই শঙ্কা, সেই ভয় তাড়িয়ে বেড়াচ্ছিল তাদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরিচালন বাজেটের আওতায় হাওর অঞ্চলের (কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ধান কাটার জন্য জরুরি ভিত্তিতে নতুন ১৮০টি কম্বাইন হারভেস্টার ও ১৩৭টি রিপার বরাদ্দ দেয়া হয়। যে কারণে দ্রুত হাওরের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।