হাওর ডেস্ক ::
চলমান করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে খুলে দেওয়া শপিংমল ও মার্কেট আবার বন্ধ ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে মার্কেট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই অনুমতির কোনো শর্তই মানছেন না। অনেকেই সন্তানদের নিয়ে কেনাকাটা করার জন্য মার্কেটে যাচ্ছেন। এতে কারোনা মহামারি আকার ধারণ করার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, পরিস্থিতি ক্রমান্বয়ে খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় খুলে দেওয়া মার্কেট, শপিংমল আবার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
এর আগে গত ১০ মে থেকে ঈদুল ফিতর ও রোজার কেনাকাটার কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে কয়েকটি শর্তে দেশের সব মপিংমল ও মার্কেট খোলার অনুমতি দেয় সরকার। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে ঈদের আগে দেশের বড় শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক খোলা হবে না বলে জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে ৫ থেকে ৯ এপ্রিল, ১৪ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ৫ মে এবং সর্বশেষ ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। সেই ছুটি নতুন করে বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
নতুন করে ছুটি বাড়ানোর বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, ‘১৭ মে থেকে ঈদের আগে কর্মদিবস রয়েছে মাত্র চারটি। বাকি দিনগুলোয় রয়েছে শবেকদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। আমার ধারণা, মানুষ যখন এতদিন সাধারণ ছুটির বিড়ম্বনা সহ্য করেছেন, ঈদের আগে বাকি এই কয়টা দিনের বিড়ম্বনাও হয়তো সইবেন। তাই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতোই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।’ সূত্র: দৈনিক আমাদেরসময়