1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

লটারিতে নির্বাচিত কৃষকের তালিকা ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্রে টানা‌নোর নি‌র্দেশ

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ১৩ মে, ২০২০, ৫.৪৭ পিএম
  • ২৫৩ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, চলতি মৌসুমে বোরো চাষ করা প্রকৃত কৃষকের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করতে হবে। লটারি করার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের নামের তালিকা ইউনিয়ন অফিসের তথ্যকেন্দ্রে ঝুলিয়ে রাখতে হবে, যাতে সবাই তা দেখতে পায়।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা বিভাগের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা মোকাবিলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মন্ত্রী।

কৃষকের ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে আদ্রতা সমস্যার কথা তুলে ধরে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে আদ্রতা নিয়ে একটু সমস্যা হয়। কিন্তু প্রতিটি উপজেলার কৃষি অফিসে আদ্রতা মাপার যন্ত্র রয়েছে। কৃষকের নামের লটারি করার পর উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা এসমস্ত চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত কৃষকের বাড়িতে যেয়ে তাদের ধানের আদ্রতা পরিমাপ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে, যা কৃষকের জন্য খুব উপকার হবে।’

ঢাকা বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে তাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে ধানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কৃষক যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী, এবারের মৌসুমে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে, যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা করোনা মোকাবিলা করে এই সংগ্রহ কার্যক্রম চালাচ্ছেন। খাদ্যশস্য সংগ্রহে যাতে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য কর্মকর্তাদের তীক্ষ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ এ ছাড়া সংগ্রহ কার্যক্রমে সকলকে সহযোগিতা ও করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।

কোনো কৃষক যেন খাদ্যগুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনোভাবেই যেন কৃষক হয়রানি না হয়, সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে সতর্ক করেন মন্ত্রী। পাশাপাশি গুদামের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খামালের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং কৃষকের লটারি করার পর আগে থেকেই ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করাসহ নানাবিধ দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন তিনি।

ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করতে হবে এবং খাদ্য বান্ধব, ওএমএস সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বরাদ্দকৃত চালের বস্তার গায়ে আলাদা আলাদা সিল ব্যবহার করতে হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল জেলার জেলা প্রশাসকগণ, ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য দেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!