হাওর ডেস্ক ::
বিতরণে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ কর্মসূচির আওতায় যে কার্ড দেওয়া হয়েছে, তা যাচাই-বাছাই করে নতুন তালিকা তৈরি করতে হবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গতকাল বুধবার তার সরকারি বাসভবন থেকে ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে এই নির্দেশ দেন।
এ ছাড়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় বলছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এই তালিকায় থাকা সুবিধাভোগীদের নিয়ে অভিযোগ আসায় মন্ত্রী অতি দ্রুত তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা তৈরি করতে জেলা প্রশাসক এবং জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের নির্দেশ দিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়, এজন্য যেকোনো প্রকার হুমকি-ধমকিকে ভয় না করে, স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুঃস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় আগে এই তালিকা তৈরির সময় যে কর্মকর্তাকে ট্যাগ অফিসার রাখা হয়েছিল তাকে বাদ দিয়ে নতুন কাউকে সেই দায়িত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী। ধান-চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে উপজেলায় সংগ্রহ কমিটিকে ইউনিয়নে গিয়ে কৃষকের উপস্থিতিতে লটারি করারও নির্দেশনা দেন তিনি।
এদিন ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ঢাকা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনাভাইরাস মোকাবেলা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই এবং সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
২০১৬ সালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করে সরকার। এর আওতায় সারা দেশে বছরে পাঁচ মাস অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর-নভেম্বর ৫০ লাখ পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজিতে মাসে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়। সূত্র: দৈনিক আমাদেরসময়