স্টাফ রিপোর্টার::
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিম চন্দ্র দাশ বয়সে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ৩ বছরের বড়। আওয়ামী লীগের এই নেতা মুক্তিযোদ্ধা মহিনচন্দ্র জানান, এরকম মাটিগন্ধী নেতা জীবনে দেখিনি। তিনি এই হাওর এলাকার সাধারণ মানুষসহ মাঠ ঘাট এর ভাষা বুঝতেন। সাধারণ মানুষই তাকে ২৮ বছর বয়সে সংসদসদস্য করেছিল তার ক্যারিশমাটিক নেতৃত্বের কারণে। তার নেতৃত্বগুণের কারণেই নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ছিল ঐক্যবদ্ধ।
শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল হককে দেখা গেল সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মরদেহ শাল্লায় নিয়ে আসার পরপরই তিনি মাঠে জড়ো হতে। নেতার মরদেহ দেখে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। তিনি বলেন, এমন নেতা আর জীবনে পাবনা। আমরা জানি আমরা কাকে হারিয়েছি। নেতার শুন্যস্থান পূরণ হবেনা কোনদিন।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের বন্ধুপ্রতীম রাজনীতিবিদ ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রামানন্দ দাসও কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ওঠেন। তার চোখের জল মুছে বলতে লাগলেন, আমাদের ভাটিকে আলোকিত করেছিলেন সুরঞ্জিত। তিনি নেতা না হলে আমাদের অবহেলিত ভাটিকে কেউ চিনতোনা। তার কারণেই ভাটি জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনায় ছিল। এমন নেতাকে পেয়ে আমরা ধন্য। তার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য তিনি নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খিদের আহ্বান জানান।
প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা রবীন্দ্র বৈষ্ণব বলেন, ‘আমরার চাইরধার এখন আন্ধাইর লাগের। আমরা বাত্তি নিভি গেছে। তিনি বলেন, নেতা অনেকই হয় কিন্ত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো নেতা কমই হয়। বলেই হাউমাউ করে কেদে ওঠেন তিনি।
সরুঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘনিষ্ট সহচর ও দীর্ঘদিনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট দিলীপ কুমার দাস বলেন, নেতার সঙ্গে আমার ৫০ বছরের সম্পর্ক। নেতা জ্ঞানেই সবসময় মেনেছি। হাওর এলাকার মানুষের জন্য বৃহত্তর কাজ করার লক্ষ্যেই নেতা বিভিন্ন সময়ে দেশের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে যোগ দিয়েছিলেন। আমরাও নেতার সঙ্গে যোগ দিয়েছি। মানুষকে ধরে রাখা এমন নেতা জীবনে দেখিনি।
দিরাই পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র বিশ্বজিৎ রায় বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই নেতার ¯েœহধন্য ছিলাম। নেতার নেতৃত্বের প্রতি ছিল গভীর শ্রদ্ধা। এমন নেতার সান্নিধ্য পেয়ে আমরা গর্বিত। নেতার স্মৃতিরক্ষায় সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।