সাজ্জাদ হোসেনশাহ্:
তাহিরপুর উপজেলার পল্লীতে আধিপত্য বিস্তারকরাকে কেন্দ্র করে দুইগ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের ধরুন্দ গ্রামের পরশ আলীর ছেলে মলাই মিয়া ও কাঞ্চনপুর গ্রামের আলী হোসেন কমান্ডারের লোকজনের মধ্যে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে পূর্ব বিরোধের জের ধরুন্দ গ্রামের পরশ আলীর ছেলে মলাই মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল পাশর্^বর্তী কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত কডু মিয়ার ছেলে আলী হোসেন কমান্ডাওে রমধ্যে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে মলাই মিয়ার কলেজ পড়–য়া ছোটভাই সালমানশাহ্ বাদাঘাট বাজাওে আসার সময় ধরুন্দ গ্রামের সামনের রাস্তায় আলী হোসেন কমান্ডারের ছেলে কামাল হোসেন দাঁড়ালো অস্ত্র নিয়ে সালমানের পথ রোধ কওে তাকে মারপিট করে।
এখবর পেয়ে মলাই মিয়ার আত্মীয়-স্বজনরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গিয়ে সালমানকে উদ্ধার কওে নিয়ে আসে। পওে কামাল বাড়ী গিয়ে এঘটনা জানালে আলী হোসেন কমান্ডারের নেতৃত্বে তার আত্মীয় স্বজনসহ লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মলাই মিয়ার বাড়ির সামনে চলে গেলে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পরলে ঘন্টাব্যপী চলে সংঘর্ষ। সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার এসআই দীপঙ্কর বিশ^াস, এসআই মনিতোষপাল, এসআই জহুরলাল দত্ত, এসআই মিজানুর রহমান, বাদাঘাট পুলিশক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ২০জন পুলিশেরএ কটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাটিচার্জ কওে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ উভয় গ্রুপের ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। আটকৃতরা হলেন আলী হোসেন কমান্ডার (৫৫), জামাল মিয়া (৫৫), কবির হোসেন (২৬), ফরিদ মিয়া (৩৮)।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, মলাইমিয়া পক্ষের জামাল মিয়া (৫৫), জহির মিয়া (৩৫), কবির হোসেন (২৬), মোশারফ মিয়া (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩৫), ফরিদ মিয়া (৩৮), নাছির মিয়া (৩৫), আবু বক্কর (৪২), আলাল মিয়া (২৮), দুলাল মিয়া (৪০) ও আলী হোসেন কমান্ডার পক্ষের আহতরা হলেন, আলী হোসেন কমান্ডার (৫৫) তার ছেলে কামাল মিয়া (৩৫), মাজেদা বেগম (১৬), অহিনুর (২৫), আক্কাছ আলী (৩৫), আইনুল মিয়া (৩২) সহআরো ৫/৬জন। এদেও মধ্যে কামালমিয়া ও মাজেদা বেগম গুরতর আহত হওয়ায় তাদেরকে সুনামগঞ্জ সদও হাসপাতালে পেরণ করা হয়েছে। অন্যান্যদেরউপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবেচিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তাহিরপুর থানারঅফিসারইনচার্জ মোহাম্মদ আদিকুর রহমান ঘটনারসত্যতা স্বীকার কওে বলেছেন, এঘটনায় এখ ন পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনী।