তমাল পোদ্দার:
ছাতক-দোয়ারার চেলা ও মরা চেলা নদী বালু মহাল পুনঃ ইজারা স্থগিত করেছেন হাইকোট। ১৯ মে হাইকোটের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল কোর্টে এ স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়। জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ছাতক-দোয়ারা উপজেলাধীন চেলা ও মরা চেলা নদী বালু মহাল ইজারা প্রদানে জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জ কর্তৃক ৩য় পর্যায়ে দরপত্র আহবান করা হয়। যথা সময়ে মেসার্স কাওসার ট্রেডার্স নামে দরপত্র দাখিল করা হয়। ২৮ এপ্রিল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রাজস্ব শাখায় দরপত্র খোলা হলে মোঃ কাওসার আহমদ মালিকানাধিন মেসার্স কাওসার ট্রেডার্স সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু ১২ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা বালু মহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুল আহাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় চেলা ও মরা চেলা নদী বালু মহাল পুনঃ দরপত্র আহবানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এদিকে পুনঃ দরপত্র আহবানের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে বিজ্ঞ আইনজীবীর মাধ্যমে বিবিধ আপিল দায়ের করা হয়। অপরদিকে ১৪ মে জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত চেলা ও মরা চেলা নদী বালু মহাল পুনঃ ইজারার লক্ষ্যে দরপত্র আহবান করে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। পুনঃ দরপত্র আহবানের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে মেসার্স কাওসার ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী মোঃ কাওসার আহমদ সুপ্রিম কোটের হাইকোট বিভাগের ভার্চুয়াল কোটে একটি রীট আবেদন দাখিল করেন। এরই প্রেক্ষিতে ভার্চুয়াল কোটের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ১৪ মে চেলা ও মরা চেলা নদী বালু মহাল(স্মারক নং-০৫.৪৬.৯০০০.০০৮.১২.০১১.১৬-৪৫২) পুনঃ দরপত্র কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। মেসার্স কাওসার ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী মোঃ কাওসার আহমেদ জানান, এ সুযোগে স্থানীয় একটি চক্র চেলা ও মরা চেলা নদীতে বালু-পাথর উত্তোলনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। চক্রটি সন্ধ্যা থেকে রাতভর ভাসমান মেশিন বসিয়ে নদী থেকে বালু-পাথর উত্তোলন ও নৌকা ভর্তি করে অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে।