হাওর ডেস্ক ::
গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে ঈদযাত্রা করা যাবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
আজ শুক্রবার আসন্ন ঈদুল ফিতর ও করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে গৃহীত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে মতবিনিময়ে তিনি এ কথা জানান।
র্যাব ডিজি বলেন, ‘ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে, যানবাহন নিয়ে চলাচল করা যাবে কিন্তু গণপরিবহনে চলাচল করা যাবে না।’
জনসমাগম এড়াতে কারফিউ দেওয়া হবে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘কারফিউ মতো পরিস্থিতিতে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে না। সরকার মানুষের সুবিধার জন্য সুবিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
এ বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মল্লিক ফখরুল ইসলাম আজ বলেন, ‘বাড়িতে গিয়ে যারা ঈদ করতে চেয়েছেন, সরকার তাতে সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। পুলিশ সড়কে নিরাপত্তা দেবে, তবে সবাইকে নিজস্ব পরিবহনে যেতে হবে।’
কোন ধরনের গাড়ি নিজস্ব পরিবহনের আওতায় পড়বে জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর জেলার এসপি মো. আলী বলেন, ‘রেন্ট এ কার নয়, শুধু ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গ্রামের বাড়ি যাওয়া যাবে।’
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস-আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়।
এরপর ধাপে ধাপে সেই ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ৩০ মে পর্যন্ত। এর মধ্যে বিপণি বিতান ও দোকানপাট, মসজিদ এবং পোশাক কারখানার ক্ষেত্রে কিছু বিধি-নিষেধ তুলে দেওয়া হলেও আন্তজেলা বাস ও গণপরিবহনে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে।
নতুন করোনাভাইরাস অত্যন্ত সংক্রামক বলেই সরকারের পক্ষ থেকে এসব বিধিনিষেধ হয়, যাতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের এলাকাগুলো থেকে ঈদের সময় মানুষের সঙ্গী হয়ে গ্রামে গ্রামে এ রোগ ছড়িয়ে না পড়ে।
গত ১৪ মে সর্বশেষ ছুটির আদেশে বলা হয়, সাধারণ ছুটি/চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না।
উক্ত সময়ে সড়কপথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল এবং অভ্যান্তরীণ রুটে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে এবং মহাসড়কে মালবাহী/জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন ব্যতীত অন্যান্য যানবাহন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সে সময় সারা দেশে গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ৩০ মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জরুরি পরিষেবার বাহন, খাদ্যসহ সব ধরনের পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, জ্বালানি, শিশুখাদ্য, ত্রাণ, কৃষিপণ্য, শিল্পপণ্য, সার ও কীটনাশক, পশুখাদ্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদিত পণ্য, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য এবং জীবনধারণের মৌলিক পণ্য পরিবহনের যানবাহন, ওষুধ, ওষুধশিল্প, চিকিৎসা সেবা ও চিকিৎসা বিষয়ক সামগ্রী বহনকারী গাড়ি এবং গণমাধ্যমের গাড়ি এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
তবে পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না বলে সতর্ক করে দেওয়া হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।