বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলব বেশি। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ধর্মপাশা উপজেলায়। এ উপজেলায় রোগির সংখ্যা ১৪ জন। পরে ১২জন করে করোনা রোগী নিয়ে তাহিরপুর ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা সমান অবস্থানে রয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার আক্রান্ত ১২জনের মধ্যে একজনও এখনো সুস্থ হয়নি।
স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধি, সুধীজন ও স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন আক্রান্তদের বেশিরভাগই ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ করোনাপ্রবণ এলাকা থেকে এসেছেন। তারা নিজেরা আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবারের লোকজনকেও সংক্রমিত করেছেন এমন প্রমাণ পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এদিকে করোনায় জেলার সবচেয়ে কম আক্রান্ত উপজেলা হচ্ছে জামালগঞ্জ। এই উপজেলায় মাত্র ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩জনই সুস্থ হয়ে গেছেন।
২৩ মে শনিবার সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে জেলায় কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর সংখ্যা মোট ৯০ জন। এর মধ্যে আরোগ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৫২জন। হাসপাতাল ও হোম আইসোলেশনে আছেন ৩৭জন।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে আরোগ্য লাভ করেছেন ৩জন। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার আক্রান্ত ১২জন রোগীর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৭জন। দিরাই উপজেলার আক্রান্ত ৭ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫জন। শাল্লা উপজেলায় আক্রান্ত ৯ জনের মধ্যে ৮জন সুস্থ হয়েছেন। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ৬ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫জন। জামালগঞ্জ উপজেলার ৪ জনের মধ্যে ৩জন সুস্থ হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ধর্মপাশা উপজেলার ১৪ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন মাত্র ৫জন। দোয়ারাবাজার উপজেলার ৬ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫জন। ছাতক উপজেলায় আক্রান্ত ৮ জনের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫জন। জগন্নাথপুর উপজেলার ৬ জনের মধ্যে সবাই সুস্থ হয়ে গেছেন। তাহিরপুর উপজেলার আক্রান্ত ১২জনের কেউ সুস্থ হননি।
স্বাস্থ্যবিভাগের রোগীর কেসস্টাডিতে জানা যায়, আক্রান্তদের বেশিরভাগই ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ বা করোনাপ্রবণ অন্য কোন এলাকা থেকে সংক্রমিত হয়ে এসেছিলেন। তারা নিজেরা আক্রান্ত হওয়ার পাশাপা,ি পরিবারের একাধিক সদস্যকেও সংক্রমিত করেছেন।
ধর্মপাশা উপজেলার সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী বলেন, আমাদের এলাকার মানুষ বেশিরভাগই গরিব। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করেন। বাইরের এলাকার আগতরাই সংক্রমিত হয়ে এসে পরিবারের লোকজনকে ছড়াচ্ছেন। এজন্য জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর সংখ্যা আমাদের উপজেলায়।
সিভিল সার্জন. ডা. শামসুদ্দিন বলেন, আমরা আক্রান্তদের হিস্ট্রি নিয়ে দেখেছি আক্রান্তদের বেশিরভাগই বাইরে থেকে আসা। কেউ ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন। এমন আক্রান্ত লোকজন তাদের পরিবারকেও সংক্রমতি করেছেন। তাহিরপুর ও ধর্মপাশায় আমরা এটা দেখেছি। স্থানীয়দের মধ্যে আক্রান্তের হার কম। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।