হাওর ডেস্ক ::
আগামী সাতদিনের মধ্যে স্বল্পমূল্যের টিসিবি পণ্য বাংলাদেশের সকল উপজেলা পর্যায়ে বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব মাননীয় ও টিসিবির চেয়ারম্যানের প্রতি এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক ভার্চুয়াল বেঞ্চ আজ বুধবার এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে এই বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা লিখিত আকারে আগামী ১১ জুন আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। ওইদিন পরবর্তী শুনানির দিনও ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৬ মে ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে টিসিবি পণ্য শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বাংলাদেশের সকল উপজেলা লেভেলে বিক্রির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি করা হয়। আজ ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হয়।
মামলাটি শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউসার।
রিট আবেদনে বলা হয়, টিসিবির মাধ্যমে কম দামে ১০ টাকা মূল্যে চাল ও অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করা হয়। সেটা বর্তমানে শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন ও কিছু কিছু পৌরসভা এলাকার মধ্যে সীমিত। যে কারণে এর সুফল সারা দেশের নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষ যারা আছেন তারা ব্যাপক আর্থিক অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে ও তারা সংকটে ভুগছে। এই টিসিবির মাধ্যমে কম দামে যেসব পণ্য বিক্রি করা হয় সেটা যদি সারা বাংলাদেশের উপজেলা লেভেলে বিক্রি করার ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এই খাদ্য সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে।
রিটে আরও বলা হয়, কম দামে খাদ্যদ্রব্য বিক্রির এই উদ্যোগ যেহেতু সাধারণ মানুষের জন্য তাই এই বিষয়টিকে শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মধ্যে সীমিতকরণ অন্যান্য সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার বাইরের মানুষেরও অধিকার আছে কম দামে প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করার।
এ ছাড়াও সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসাকে মৌলিক প্রয়োজন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে রাষ্ট্র এসবের নিশ্চয়তা প্রদান করবে। কাজেই কম মূল্যে রাষ্ট্রীয় খাদ্য সামগ্রী বিক্রি শুধুমাত্র সিটি করপোরেশন অথবা কিছু নির্দিষ্ট এরিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সুস্পষ্টভাবে সংবিধানের লঙ্ঘন, মানবাধিকারের ও মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। বিষয়টি বৈষম্যমূলক ও মানুষের জীবন ধারণের যে মৌলিক অধিকার রয়েছে সেটার পরিপন্থী।