ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে এক ভুয়া ইমাম সেজে প্রতারনা করার অভিযোগ ওঠেছে। আর এ বহুরূপী প্রতারক সদ্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ৫হাজার টাকার অনুদানের চেক হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বুধবার ইমাম-মোয়াজ্জিনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের চেক বিতরণকালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনাটি ধরা পড়ে। তালিকাভুক্ত নামের পাশে দেয়া মোবাইল নাম্বারে ফোন করা হলে প্রতারক সাদিকুর রহমান নিজকে মানসীনগর মসজিদের ইমাম বলে পরিচয় দেয়।
জানা যায়, প্রতারক সাদিকুর ছাতক সদর ইউনিয়নের মানসীনগর গ্রামের গোলাম আম্বিয়ার পুত্র। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদেয় ছাতকের ৬৩৬টি মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনদের অনুদানের চেক আনুষ্ঠানিক বিতরণ করেন প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক। এক পর্যায়ে ছাতক সদর ইউনিয়নের মসজিদের তালিকায় অসংগতি ধরা পড়ে। ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম সাথে সাথে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সদর ইউনিয়নের মসজিদের তালিকায় ১২নং ক্রমিকে গনক্ষাই মসজিদ নামে তালিকাভুক্তি রয়েছে। গনক্ষাই মসজিদটি ছাতক পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হলে পাশে দেয়া মোবাইল নাম্বারে ফোন করা হলে অপর প্রান্ত থেকে ওই বহুরূপী প্রতারক সাদিকুর রহমান নিজেকে মানসীনগর গ্রামের মসজিদের ইমাম বলে পরিচয় দেয়। এদিকে মাসনীনগর মসজিদের ইমাম মাও. মাহমুদ আলী ইতিমধ্যেই অনুদানের চেক নিয়ে চলে যান। এ ঘটনায় বুধবার সাদিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মানসীনগর গ্রামের পক্ষে হাজী মতিউর রহমানসহ ৭জন স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে দেয়া হয়েছে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রতারক সাদিকুর রহমান নিজকে কখনো যুবলীগ নেতা, কখনো আদর্শ কৃষক, ইমাম, গণশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষক ও পশু-পালন প্রকল্পের পরিচালক পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে একাধিক ভুয়া প্রকল্পের পরিচালক সেজে সে জাতীয় যুব উন্নয়ন পুরস্কারের জন্য নিজের নাম তালিকাভুক্ত করেছিল। পরে বিষয়টি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ আকারে প্রকাশিত হলে তার নাম বাতিল করা হয়। এ ছাড়া সে গণশিক্ষার নামে বছর-বছর ইসলামীক ফাউন্ডেশনের টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। আন্ধারীগাঁও জামে মসজিদের নামের সরকারি বরাদ্ধ সৌর প্যানেল তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাড়িতে সরকারি ৪টি সৌর প্যানেল রয়েছে। আবেদনে বিষয়টির তদন্তক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান গ্রামবাসী।