বিশেষ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অধীনে জেলার সব হাসপাতালে আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগের জন্য দরপত্র দাখিলের সময়ে বিক্ষোভ করেছে প্রাক্তন কর্মীরা। বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান ও দাখিল করায় তারা এই বিক্ষোভ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে বিক্ষুব্দ কর্মীদের শান্ত করে। তবে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন আউট সোর্সিয়ের প্রাক্তন কর্মীদের চুক্তি মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তাই নতুন করে নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া প্রাক্তন কর্মীরা যাতে বকেয়া সম্পূর্ণ বেতন পায় তার জন্য বিল করে ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২০১৯ সালে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চতুর্থ শ্রেণির সমমানের আউট সোর্সিয়ের মাধ্যমে প্রায় ২৫০জন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পর্যন্ত ওই কর্মীরা মাত্র ২ মাসের বেতন পেয়েছে। তবে নিয়োগের সময় সরকারি পদের বিপরিতে আউট সোর্সিংয়ে লোক নেওয়ায় বেতন নিয়ে জঠিলতা দেখা গিয়েছে। নিয়ম না মেনে নিয়োগ দেওয়ায় এখন মন্ত্রণালয় বেতন ছাড় দিলেও বেতন প্রদান নিয়ে জঠিলতার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ আছে ওইসময় নিয়োগ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। এদিকে চুক্তি মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় আবারও সিভিল সার্জন কার্যালয় লোক নিয়োগের দরপত্র আহ্বান করে। ৭ জুন রবিবার দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। ওইদিন নিয়োগের দরপত্র দাখিলের খবর পেয়ে সকাল থেকেই সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভিড় করেন গত বছরের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীরা। তারা বকেয়া বেতন পরিশোধ না করে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উদ্যোগ নেওয়ায় ক্ষুব্দ হয়ে বিক্ষোভ করেন। ক্ষুব্দ কর্মীরা তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মিছিলও করেন। খবর পেয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এই বিক্ষোভের মধ্যেই একাধিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করেছে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ও সুনামগঞ্জ বিএমএর সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সৈকত দাস বলেন, আউট সোর্সিয়ের কর্মীরা নৈতিকভাবে বেতন পাবার অধিকার রাখেন। তারা গত এক বছর কাজ করেছেন। কিন্তু বেতন পেয়েছেন মাত্র দুই মাসের। তবে আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষও যতদূর জানি তাদের বেতনের জন্য কাজ করছেন। আনুষঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি করে পাঠিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. শামসুদ্দিন বলেন, আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় জনবল নিয়োগের দরপত্রে অংশ নিয়েছেন একাধিক প্রতিষ্ঠান। আগের নিয়োগের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় নতুন করে আইনগতভাবেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তবে বকেয়া বেতনের দাবি জানিয়েছেন সাবেক কর্মীরা। আমরা ইতোমধ্যে তাদের সবার বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য বিল প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।