হাওর ডেস্ক ::
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় করোনাভাইরাস শনাক্তের খবর গোপন রেখে এক ইমাম মসজিদে দুদিন নামাজ পড়িয়েছেন। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে ইমামসহ তার সংস্পর্শে আসা অর্ধশত স্থানীয় ও তাদের পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোস বলেন, ‘জ্বর, ঠাণ্ডা ও গলাব্যথা দেখা দিলে ওই ব্যক্তি নিজেই ঢাকায় গিয়ে করোনার নমুনা পরীক্ষা করান। এরপরও তিনি ধর্মীয় কাজ করছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তার করোনার ফলাফল পজিটিভ আসে। পরে তার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে তাকে হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়। অথচ তিনি বিষয়টি গোপন রেখে ধর্মীয় কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ম্যাজিস্ট্রেট, ওসিসহ আমরা গিয়ে তাকে লকডাউনে বাধ্য করি।’
স্থানীয়রা জানিয়েছে, শিবচরের কাদিরপুরের এক ইমাম গত ৩১ মে ঢাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করান। এরপর তিনি শিবচর ফিরে আসেন। শিবচর ফিরেও তিনি নিয়মিত মসজিদে নামাজ পড়াতেন। গত বৃহস্পতিবার করোনার নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবেই অবগত হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করে তাকে হোম আইসোলেশনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু এরপরও তিনি আগের মতোই নামাজ পড়াচ্ছিলেন। স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার রাতেই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রাকিবুল হাসান, ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোস কাদিরপুরে গিয়ে তার বাড়ি ঘর লকডাউন করেন ও তাকে হোম আইসোলেশনে রাখেন। এ ছাড়া তার সংস্পর্শে আসা অর্ধশত স্থানীয়কেও হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
শিবচর থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘করোনা পজিটিভ হয়েও ইমাম নামাজ পড়াচ্ছিলেন। আমরা গত রাতে গিয়ে তাকে ও তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়েছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শিবচরে এখন পর্যন্ত ৩৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে সাতজন আইসোলেশনে রয়েছেন। এ ছাড়া গত শনিবার দুজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।