তমাল পোদ্দার:
ছাতকের সুরমা নদীর উপর খেয়াঘাটে ইজারাদারদের দৌরাত্ম্য যেনো থামছেই না। দীর্ঘদিন ধরে ইজারার শর্ত ভেঙ্গে যাত্রীদের জিম্মি করে ক্ষেত্রবিশেষে ৫ থেকে ২৫ গুন ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। জানা যায়, বৃহত্তর সিলেটের অন্যতম খেয়াঘাট ছাতক পৌর শহরের পশ্চিম বাজার (নোয়ারাই) খেয়াঘাট। প্রতিদিন উত্তরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের পারাপার সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের আওতাধীন এই খেয়াঘাট দিয়ে। প্রাণঘাতী সংক্রামক ব্যাধি করোনা ভাইরাসের রেড জোন হিসাবে চিহ্নিত এ এলাকায় প্রশাসনের নির্দেশনা অমান্য করে ধারনের চেয়েও অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করে আসছে নিয়মিত। খেয়াঘাটের পারাপারের মূল্য তালিকা সম্বলিত বড় সাইনবোর্ড ঝুলানোর শর্তসহ ঘাটের রক্ষনাবেক্ষন, ও ঘাট অন্যকারো কাছে সাব-লিজ না দেওয়ার শর্তে ইজারা দেওয়া হলেও এর একটিও মানছেন না ইজারাদার। শুরু থেকেই সাব-লিজ নিয়ে যাত্রীদের হয়রানি, স্বেচ্ছাচারীতাসহ ইচ্ছে মতো টোল আদায় করছে একটি প্রভাবশালী চক্র। খেয়াঘাটে ভাড়া নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে টাকা দিতে বাধ্য করে তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন। এনিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘাটে যাত্রীদের অপদস্থ করার ঘটনা ঘটে। সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়মানুযায়ী ছোট নৌকায় যাত্রী প্রতি ৩টাকা ভাড়া আদায়ের নিয়ম থাকলেও আদায় করা হয় ৫-১০টাকা পর্যন্ত, বড় নৌকায় ১০-২০টাকা ও রির্জাভের নামে ১০০-১৫০টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে তারা। এছাড়া প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে সকাল পর্যন্ত যাত্রীদের অনেকটা জিম্মি করে ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করা হয়। এসব নিয়ে যাত্রী হয়রানির অন্ত নেই। এনিয়ে প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ দেওয়া হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্ধারিত ভাড়া উল্লেখ করে একটি চার্ট টাঙানো হয়। কিন্তু মাত্র এক মাস পরেই সেই চার্টও উধাও। রহস্যজনক কারণে উপজেলা প্রশাসনও এব্যাপারে নিরব ভূমিকা পালন করছে। এব্যাপারে ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান জানান, প্রতিটি খেয়াঘাটে নির্ধারিত টোল সাইনবোর্ডে লিখে টাঙানো প্রয়োজন। সাইনবোর্ড টাঙানো হলে খেয়াঘাটে দায়িত্বে থাকা লোকজন ভাড়া বেশি নিতে পারবে না। এক্ষেত্রে প্রশাসনের দ্বায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি।