হাওর ডেস্ক ::
দুর্নীতি রোধে প্রয়োজনে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বুধবার (১০ জুন) মন্ত্রী মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সুবিধাভোগীদের তালিকা নিয়ে কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাই প্রতিটি জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে চিঠি দেয়া হয়েছিল। অতি দ্রুত যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত গরীব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে নতুন করে তালিকা প্রেরণের জন্য বলা হয়েছিল। এজন্য যেকোনো প্রকার হুমকি-ধামকিকে ভয় না করে, স্বজনপ্রীতির ঊর্ধ্বে থেকে প্রকৃত গরিব ও দুস্থদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছিল।’
প্রয়োজনে প্রতিটি উপজেলায় অতীতে তালিকা তৈরির সময়ের ট্যাগ অফিসারকে সরিয়ে নতুন করে কাউকে দায়িত্ব দিয়ে হালনাগাদ করে নতুন তালিকা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এ দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে প্রয়োজনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ড ডিজিটালাইজড করা হবে।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্চ, এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এ পাঁচ মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রতিকেজি ১০ টাকা দরে দেয়া হয়। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মে মাসেও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল দেয়া হয়েছে।’
সরকারি গুদামের মজুদ বাড়াতে ধান-চাল কেনার গতি ত্বরান্বিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষক বোরোতে এবার বাম্পার ফলন ও নায্য দাম পাচ্ছেন। ধান চাল ক্রয়ে সরকারি সংগ্রহের গতি বাড়াতে হবে। এছাড়া নির্দেশ মোতাবেক খাদ্যশস্যের মান যাচাই করে সংগ্রহ করতে হবে।