তমাল পোদ্দার:
ছাতকে নিটল-টাটা কার্টিস মিলে প্রায় তিন মাস ধরে শ্রমিকদের বেতন বন্ধ রয়েছে। ওই কারনে পরিবার পরিজন নিয়ে মিলের শ্রমিকদের এখন মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বেতনের দাবীতে অধৈর্য হয়ে এখানের শ্রমিকরা মিলের কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কারাখানা সচল রেখে কারখানার প্রধান কার্যালয়ের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে। জানা যায়, নিটল-টাটা কার্টিস মিলে প্রায় ৩শ’ শ্রমিক বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন। গত এপ্রিল থেকে শ্রমিকরা বেতন-ভাতা পাচ্ছিলেন না। বেতন না পাওয়ায় কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরাজ করছিল চাপা অসন্তোষ। মঙ্গলবার কর্মরত আংশিক শ্রমিকদের মোবাইল ম্যাসেজে এপ্রিল মাসের ১৫ দিনের বেতন পরিশোধ করা হয়। আর এ আংশিক বেতন নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে আরও ক্ষোভ দেখা দেয়। তাদের দাবী কারখানা সচল থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তারা কোন কারন ছাড়াই তাদের বেতন পরিশোধে টালবাহানা করছেন। বেতন-ভাতা না পাওয়াতে গত ৩ মাস ধরে ধার-কর্জ করে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন শ্রমিকরা। এ দিকে কারখানার সহকারি ম্যানেজার (কোয়ালিটি-কন্ট্রোল) জহিরুল ইসলামের অসৌজন্যমূলক আচরণে শ্রমিকরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় সহকারী ম্যানেজার জহিরুল ইসলামের অপসারণের দাবীও করেছেন শ্রমিকরা। এ ব্যাপারে শ্রমিকদের পক্ষে কাউসার আহমদ, আবুল হাসেম, রিপন মিয়া, এনামুল হক, আনোয়ার হোসেন, মিলন মিয়া, ইব্রাহিম আলী, আব্দুল খালেক, বিল্লাল আহমদ, রাশেদ মিয়াসহ শ্রমিকরা জানান, বকেয়া বেতন বা শ্রমিকদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলা হলেই সহকারী ম্যানেজার জহিরুল ইসলাম শ্রমিকদের সাথে অশালিন আচরন করেন। বিভিন্ন হয়রানিসহ চাকুরীচ্যুত করার হুমকীও দিয়ে থাকেন এ কর্মকর্তা। কারখানার ডিজিএম আমিরুল ইসলাম ও এডিজিএম জহিরুল ইসলাম ১৫ দিনের বেতন পরিশোধের কথা স্বীকার করে জানান, শ্রমিকদের বেতনের ব্যাপারে হেড অফিসের সাথে কথা বলে দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা হবে।