দিরাই প্রতিনিধি ঃঃ
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে নানা-নাতির সলিলসমাধি হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার ধল এলাকায় কালণী নদীতে ঝড়ের কবলে পড়ে যাত্রীবাহী একটি ইঞ্জিন নৌকা ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া নৌকার অন্য যাত্রীরা সাথরিয়ে তীরে উঠতে পারলেও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর মাটিয়াখাড়া গ্রামের জয়সুন্দর দাস (৫৫) ও তার মেয়ের দিকের নাতি দিরাই উপজেলার জারলিয়া গ্রামের রঞ্জিত দাসের ছেলে পৃথম দাস (৯) নৌকার ভিতরে আটকে পড়েন। এলাকাবাসী ডুবন্ত নৌকার ভেতর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানা যায় নিহত জয়সুন্দর দাস দুদিন আগের মেয়ের বাড়ী জারলিয়া গ্রামে বেড়াতে আসেন। শনিবার নাতি পৃথম দাসকে নিয়ে বাড়ী যাওয়ার জন্য সকাল ১০ টার সময় দিরাই থেকে মার্কুলীরগামী টলারে উঠেন। পৌণে ১১টার দিকে টলারটি ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। এতে নানা-নাতি দুজনেরই সলিলসমাধি ঘটে। দিরাই থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারকৃত লাশ দুটি থানায় নিয়ে আসলে বিকেল ৫টার দিকে পরিবারের লোকজন এসে লাশ শনাক্ত করে নিয়ে যায়। পৃথমের বাবা রঞ্জিত দাস কান্না করতে করতে বলেন, ২৫ তারিখে তার শশুর বেড়াতে আসার পর থেকেই পৃথম নানার সাথে তাদের বাড়ীতে যাওয়ার বায়না ধরে। তার আর নানার বাড়ী যাওয়া হলোনা। দিরাই থানাভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম নজরুল জানান, প্রথমে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। ফেইসবুকের মাধ্যমে ছবি দেখে তাদের পরিবারের লোকজন থানায় এসে লাশ শনাক্ত করেছেন। পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।