স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বন্যাপরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় জেলা প্রশাসন জরুরি বৈঠক করেছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি অনলাইনে শনিবার দুপুর ২টায় জরুরি সভার আয়োজন করে। সভায় সুনামগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ড. জয়া সেনগুপ্তা, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ জয়নুল বারীসহ জেলা কমিটির সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবগুলো উপজেলা ও চারটি পৌরসভায় দুর্গত পরিবারের মধ্যে বণ্ঠনের জন্য ৪১০ মেঃ টন চাল এবং ২৯ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে এই ত্রাণ বিতরণ করবে। এছাড়াও উপজেলাসমূহে ৪ হাজার ৭৫২ টি পরিবারের মধ্যে শিশু খাদ্য বিতরণের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
সভায় জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ সুনামগঞ্জ জেলার বর্তমান বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিন্মোক্ত সিদ্ধান্ত সমূহ গ্রহণ করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা, আশ্রয় কেন্দ্রের তথ্য মাইকে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে সিদ্ধান্তগুলো প্রচার করা, জেলা ও উপজেলায় কন্ট্রোল রোম চালু করা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট প্রস্তুত করা ও প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর তালিকা প্রস্তুত, যোগাযোগের নম্বর এবং আশ্রয়কেন্দ্র ভিত্তিক কমিটি করে দেয়া, ত্রান ও উদ্ধার কাজে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে নৌযানের ও মাঝির ব্যাবস্থা করা এবং তাদের যোগাযগের নম্বর প্রচার করা, ত্রান ও উদ্ধার কাজে সহায়তা করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে স্পিড বোটের ব্যাবস্থা করা, আশ্রয়কেন্দ্রে কারোও করোনা উপসর্গ থাকলে তাকে আলাদা স্থানে রাখার ব্যাবস্থা করা, আশ্রয়কেন্দ্রে সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক সরবরাহ করা, স্ব স্ব উপজেলা হতে ত্রান চাহিদা প্রেরন করা, মোমবাতি, দিয়াশলাই, চার্জার লাইট সরবরাহ করা, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যাবস্থা নিশ্চিত করার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা, বন্যার সময় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে প্রস্তুত রাখা ও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, জরুরি সভা করে আমরা বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা, আশ্রয় কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথাও বলা হয়েছে। তাছাড়া জরুরি ত্রাণ সহায়তার জন্য চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরো ত্রাণের জন্য সরকারের কাছে লেখা হয়েছে।