তমাল পোদ্দার, ছাতক,
ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। সর্বশেষ পৌরসভাসহ উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়নই বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে এখানের বহু রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মৎস্য খামার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শাকসবজির বাগান ও ক্ষেতের ফসল। উপজেলার সাথে দেশের সকল অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলের কারনে এখানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে ১৩০ মি.মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবমতে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৭৬ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা দূর্গতদের আশ্রয়ের জন্য নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাতিকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও এস. পি. পি. এম উচ্চ বিদ্যালয়ে চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলা হয়েছে। ছাতকে প্রায় ১ লক্ষ লোক পানিবন্দী রয়েছেন বলে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ গোলাম কবির বলেন, এখানে চারটি আশ্রয়কেন্দ্র খুলা হয়েছে। আরো ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্রের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মেডিকেল টিম গঠনসহ সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে এখানে। সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক জানান, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের কারনে এখানের মানুষ বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি ছাতক-দোয়ারাবাসীকে ধৈর্য্য সহকারে এ দূর্যোগ মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার সহায়তা করবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।