বিশেষ প্রতিনিধি ::
নির্ধারিত মেয়াদে কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের দুটি প্রকল্পের ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা ফেরত গেছে। ফলে ১৪০ কোটি টাকার সুনামগঞ্জ-সিলেট সংস্কার প্রকল্পের সম্পূর্ণ কাজ সমাপ্ত করা সম্ভব হয়নি। নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদার কাজ শেষ করতে না পারায় সড়ক বিভাগ টাকা ফেরত পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে সড়ক সংস্কার প্রকল্পের সিলেট অংশের কাজ শেষ করতে না পারায় আরো এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, অধিদপ্তর এই মহাসড়কের ৬৫ কিলোমিটার ১৮ থেকে ২৪ ফুট চওড়াসহ মজবুত করতে ১৪০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছিল ২০১৬ সালে। কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এই কাজ সমাপ্ত করার কথা ছিল। ৩০ জুন এই প্রকল্পের সংস্কার কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সূত্র মতে সুনামগঞ্জ অংশের ৪৬ কি.মি. সড়কের কাজ ৯৮ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। সিলেটের ২২ কি.মি. অংশের কাজ মাত্র ৪০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। তাই পুরো কাজ সম্পন্ন করতে আরো ১ বছর সময় বাড়ানো হয়েছে।
জানা গেছে, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে ১ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ‘বাস বে’ নির্মাণের কথা ছিল। জাউয়াবাজার ও গোবিন্দগঞ্জে ‘বাস বে’ নির্মাণ করা হলেও বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও ‘বাস বে’ নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে ঠিকাদার কাজ করতে পারেনি। তাই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় অধিদপ্তরে গত দুই দিন আগে টাকা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া একই সড়কে ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পাকা পিলারের উপর স্থায়ী করে গোবিন্দগঞ্জ ও ডাবরে বিশালাকার দুটি দৃষ্টিনন্দন সাইনবোর্ড নির্মাণের কথা ছিল। এই চারটিও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নির্মাণ করতে না পারায় টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের সিলেট অংশের কাজ মাত্র ৪০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের কাজ প্রায় ৯৮ ভাগ শেষ করেছি। তবে বাস বে ও সাইন বোর্ড নির্মাণের দুটি প্যাকেজের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় আমরা টাকা ফেরত দিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে ঠিকাদাররা কাজ শেষ করতে পারেনি।