সাজ্জাদ হোসেন শাহ্,::
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানির তোড়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ফাজিলপুর বালি পাথর মহালে ভেসে গেছে কোটি টাকার বালি ও পাথর।
শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও আকস্মিক পাহাড়ী ঢলের তোড়ে হঠাৎ করেই যাদুকাটার শাখা রক্তি নদীর তীর ঘেষা ফাজিলপুর বালি পাথর মহালের মসজিদের পাশ দিয়ে প্রায় ১০০মিটার সড়ক পানির প্রবল ¯্রােতে চোখের পলকেই ভেঙে পানির নিচে তলিয়ে যায়। সেই সাথে ভেসে যায় মেসার্স জাহিদ এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স জমিলা ষ্টোন ক্র্যাশারের স্টক করা প্রায় ৫০হাজার সেফটি এলসিকৃত ক্র্যাশার মেশিনে ভাঙা চুনাপাথর ও প্রায় ২০ হাজার সেফটি সিলেট বালি। এরফলে দুই ব্যাবসায়ী প্রায় কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে।
জাহিদ এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারী মো. আবুল কাশেম জানিয়েছেন, গত ছয়মাস আগে ব্যাংক ঋণ ও বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের কাছ থেকে ধার দেনা করে এলসিকৃত চুনাপাথর ও সিলেটবালি কিনে স্টক করেছিলাম। হঠাৎ করে পাহাড়ী ঢলে চোখের সামনের মুহুর্তের মধ্যেই সকল বালি ও পাথর পানির তোড়ে ভেসে চলে গেছে। এমনিতেই করোনা সঙ্কট তার মধ্যে এখন বানের পানিতে সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসেছি। এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। শুধু তাই নয় এখানে আমাদের যে অফিস ঘর দুটি ছিল তা বানের পানি ও ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গেছে।
জমিলা ষ্টোন ক্র্যাশারের স্বত্তাধিকারী মিজানুর রহমান বলেন, এমন হবে কোনদিন ভাবিনি দুটি ষ্টিলবডির বাল্কহেড নৌকা লোড করার কথা ছিল। বানের পানি আমাদের সবকিছু কেড়ে নিয়ে নিঃস্ব করে দিয়েছে। এখন কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবো, কিভাবে আবার ব্যবসা শুরু করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা। গত দুুদিন ধরে ২০/৩০জন শ্রমিক দিয়ে কিছু মাল উঠানোর জন্য চেষ্টা করছি। যদি কিছু পাই সেই আশায়।