স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের ছাতকে কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসা পন্থীদের মধ্যে ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আব্দুল বাছেত বাবুল নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নিহত বাবলু ছাতকের বাগবাড়ি গ্রামের আব্দুল জব্বারের পুত্র। সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ এই সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে স্থানীয়রা বলছেন সংঘর্ষের সময় ধাওয়া খেয়ে আরো একজন নদীতে পড়ে মারা গেছেন। তার নাম রুবেল মিয়া। তিনি গণেশপুরের বাসিন্দা।
সোমবার দুপুর থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক আহত হন। গুরতর আহত ৮জনকে সিলেট ওসমানীতে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা ছাতক ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে সংঘর্ষ থামাতে সুনামগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ৩০টি রাবার বুলেট ও ৫টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৬, ২৭, ২৮ ফেব্রুয়ারি তিন দিন ব্যাপি ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে কমী মাদ্রাসার ছাত্ররা। এ উপলক্ষ্যে জাওয়া বাজারে ব্যনার টানায় তারা। এই ব্যনারটি ছিরে ফেলে জালালিয়া আলীয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা। এ নিয়ে গত কাল দিন ভর উত্তেজনা বিরাজ করে দু পক্ষের মধ্যে। তবে জালালিয়া মাদ্রাসার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে শানে রিসালাত নামে ফুলতলি আলিয়াপন্থীরা ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করে। এই আয়োজনের একটি ব্যনার গণেশপুর কওমিপন্থীরা ছিড়ে ফেলে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। পরে রবিবার রাতে ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান এ বিষয়টি সমাধানের জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে সভা করেন। উভয় পক্ষই চেয়ারম্যানের সিন্ধান্ত মেনে নেন। কিন্ত সোমবার দুপুরে হঠাৎ ছাতক জালালিয়া মাদ্রারাসার ছাত্ররা ঢিল ছুরে কমী মাদ্রসার আয়োজনে আয়োজিত খাদিমুল ইসলাম পরিষদের ব্যানারে ওয়াজ মাহফিলে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেন, সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আরেক জন পানিতে পড়ে মারা গেছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৫টি টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে।