আল-হেলাল : মহামারী করোনা ভাইরাস কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জেলার অসচ্ছল সংস্কৃতিসেবীদের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ৫০ জন সংগীত শিল্পীকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমী। রোববার সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ৫ হাজার টাকা করে উক্ত সহায়তা প্রদান করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ শিল্পীদের হাতে নগদ সহায়তার টাকা প্রদান করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শরীফুল ইসলাম,জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক এডভোকেট শামছুল আবেদীন ও জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাভেল উপস্থিত ছিলেন।
অনুদানপ্রাপ্ত গীতিকার অরুন তালুকদার বলেন,আমি অনুদান পেলেও খুশী হতে পারিনি। শহরের বেশীরভাগ অধিকতর কিশোর তরুন শিল্পীরা এ সহায়তা পেয়েছে। গ্রামগঞ্জের প্রবীণ প্রকৃত বাউল শিল্পীরা এতে উপেক্ষিত হয়েছেন। তিনি বলেন,সুনামগঞ্জ হচ্ছে পঞ্চরতœ বাউলের দেশ। বাউল গান গেয়েই এ জেলার বাউলরা বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জনের পাশাপাশি সুনামগঞ্জকে পরিচিত করেছেন। কিন্তু শিল্পকলা একাডেমীর সহায়তার বেলায় দেখা গেছে আধুনিক গানের শিল্পীদের চাইতে বাউলরা একবারেই যৎসামান্য সহায়তা পেয়েছেন।
সংস্কৃতি সংগঠক সেলিম মিয়া বলেন,বৈষ্ণব কবি রাধারমন দত্ত,মরমী কবি হাছন রাজা,গানের স¤্রাট কামাল পাশা,বাউল স¤্রাট শাহ আব্দুল করিম ও জ্ঞানের সাগর দূর্বিণ শাহ এই পঞ্চরতœ বাউলের নামে সুনামগঞ্জে সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে। অগ্রাধিকার তালিকার বেলায় এসব সংগঠনের মতামত নিলে প্রকৃত উপকারভোগীরা সহায়তা পেয়ে কিছুটা হলেও লাভবান হতে পারতেন।
বাউল স¤্রাট শাহ আব্দুল করিমের পুত্র শাহ নূরজালাল বাবুল বলেন,শুনেছি ৫০ জনের তালিকায় আমার নাম আছে। কিন্তু একহাজার টাকা খরচ করে শহরে গিয়ে ৫ হাজার টাকা আনাটাকে আমার কাছে অমানবিক মনে হয়েছে বলে আমি যাইনি। তাছাড়া আমি একা পেলে চলবেনা। গ্রামগঞ্জের প্রকৃত অসহায় শিল্পীদেরকে যেকোন সহায়তা প্রদানের বেলায় অগ্রাধিকার দেয়া একান্ত প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।
জেলা কালচারাল অফিসার আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী পাবেল বলেন,আমরা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত করোনাকালীন সহায়তা বাবত প্রথম দফায় সুনামগঞ্জ জেলার ৫০ জন শিল্পীকে সহায়তা প্রদান করেছি। ২য় ও ৩য় দফায় আরো সহায়তা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক বরাবরে প্রস্তাবনা প্রেরন করেছি।