স্টাফ রিপোর্টার::
তাহিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ২জনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এবং ১জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে আনোয়ারপুর গ্রামের ফজল হকের ছেলে শাহাঙ্গীর গণি (৩২) সহ ৭ জনকে আটক করেছে পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের আনোয়ারপুর বাজার হোন্ডার পয়েন্টে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া জানান, বুধবার দুপুরে উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণকূল গ্রামের মর্তুজ আলী ওরফে রাজহাসের ছেলে এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও একাধিক মামলার আসামী কাসেমের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা করে একই গ্রামের মৃত উস্তার আলীর ছেলে জবা মিয়ার উপর। এক পর্যায়ে গুরুতর আহত জবা মিয়াকে মৃত ভেবে রাস্তায় ফেলে রাখে কাসেম গংরা। সংবাদ পেয়ে প্রথমে তাহিরপুর থানার এএসআই বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আসলে পুলিশের উপস্থিতিতে আবারো তাদের উপর হামলা করে কাসেমের লোকজন। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে থানার এসআই জহুর লাল দত্তের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিসিস্থি নিয়ন্ত্রন করে। হামলায় জবা মিয়ার বড় ভাই আকিক মিয়া (৪৫), জমির আলীর ছেলে শুভ (২০), স্থানীয় ইউপি সদস্য ও বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া (৪৫), ফকির মিয়া (৩০) আহত হন।
বাবুল মিয়া আরো জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকার মানুষ অতিষ্ট হলেও কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। ঘটনার সময় আমি দৌড়ে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে কোন রকমে আত্মরক্ষা করি। অপর দিকে আবুল কাসেম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় তার ছোট ভাই সেলিম আহমদ (২৫), তার পক্ষের কামাল শাহ্ (৩৮), সুজন (২৮) সহ ৫ জন আহত হয়েছে। গুরতর আহত জবা মিয়া, আকিক মিয়াকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সুজনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ৭জনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। এঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনী।