সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, : বৈশি^ক মহামারী প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস, টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে প্রথম দফায় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো অতি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে হাওর বেষ্টিত ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ভয়াবহ বন্যায় নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফের পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলার সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা। এযেন মরার উপর খাড়ার ঘাঁ। হুমকির মুখে রয়েছে নদী তীরবর্তী ১০টি গ্রামের বেরিবাঁধ। বাঁধ ভেঙে যেকোন সময় প্লাবিত হতে পারে উপজেলার অন্যতম বাণ্যিজিক কেন্দ্র বাদাঘাটসহ অনেকগুলো গ্রাম। দ্রুত এসব বাঁধ মেরামতের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও উপজেলা সদরের সাথে আন্তঃ সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থা রয়েছে সম্পূর্ণ বন্ধ। বন্যার পানিতে উপজেলার বালিজুরী, বাদাঘাট উত্তর, বড়দল উত্তর, বড়দল দক্ষিণ, শ্রীপুর উত্তর, শ্রীপুর দক্ষিণ তাহিরপুরসদরসহ ৭ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্ধি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। বাড়ি, ঘর, ব্যাবসা প্রতিষ্টানসহ গৃহ পালিত পশু, গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এখনও উপজেলার অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানি বিপদ সীমার ১২৫ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় তাহিরপুরে ২৫২মি.মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ জানিয়েছেন, জরুরী ভিত্তিতে বন্যাকবলিতদের মধ্যে শুকনো খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে মে.টন করে চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানিয়েছেন, আজ শনিবার ও আগামীকাল তাহিরপুর ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। যদি এরকম ভারিবৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তাহলে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সুনামগঞ্জ ১ আসনের স্থানীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনের তুলনায় আশ্রয়কেন্দ্র অপ্রতুল হওয়ায় আপাতত স্কুলে বানভাসিদের আশ্রয় নিতে বলেছি। হাওর এলাকায় গৃহ পালিত পশু নিয়ে হাওরবাসী পরেছে বিপাকে। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ করে বানভাসিদের সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগীতাও করছি।