হাওর ডেস্ক ::
দেশের সকল বিভাগেই ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বন্যা পরিস্থিতিরও দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানিয়েছেন, সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সোমবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা নাগাদ রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে অতিভারী বর্ষণের আভাসের মধ্যে পাহাড় ধসের কোনো শঙ্কা নেই।
এদিকে বৃষ্টিপাত আরো বেড়ে যাওয়ায় বন্যাপ্রবণ প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। শনিবার যেখানে ছয় নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল, রোববার (১২ জুলাই) নয় নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে উঠে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ধরলা নদীর পানি কুড়িগ্রামে, তিস্তার পানি ডালিয়া ও কাউনিয়ায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া ও চিলমারীতে, যমুনার পানি ফুলছড়ি, বাহাদুরাবাদ ও সারিয়াকান্দিতে, সিংড়ায় গুড় নদীর পানি, সুরমার পানি কানাইঘাট, সিলেট ও সুনামগঞ্জে, সারিঘাটে সারিগোয়াইনের পানি, দিরাইয়ে পুরাতন সুরমার পানি, লরেরগড়ে যাদুকাটার পানি ও কলমাকান্দায় সমেশ্বরীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এসব নদ-নদীর পানি আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে বিস্তৃতি হবে বন্যা পরিস্থিতি। আর এতে নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, নাটোর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনার, সিরাজগঞ্জ ও গোয়ালন্দে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে।
পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। ফলে দেশের সকল বিভাগে বৃষ্টিপাত বেড়ে গেছে। বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা মঙ্গলবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
রোববার দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১১৬ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।