বিশেষ প্রতিনিধি::
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জিয়াউল হক(২৬) এক আনসার সদস্য করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে চট্রগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি মারা যান।
জিয়াউল হক সুনামগঞ্জ জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখোলা গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র। তিনি খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ছোট মেরুং আনসার ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, গত বুধবার জিয়াউল হক ছোট মেরুং আনসার ব্যাটলিয়নে কর্মরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে চট্রগ্রামের সম্মেলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মারা যান তিনি। মৃত্যুর পর হাসপাতালের পক্ষ থেকে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে নমুনার ফলাফলে তাঁর করোনা পজেটিভ ছিল বলে চিকিৎসরা জানান।
এদিকে করোনায় মারা যাওয়ায় জিয়াউল হকের লাশ তাঁর গ্রামের বাড়ি বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়ারখোলায় দাফন করার জন্য চট্রগ্রাম থেকে আনসার বাহিনীর একটা দল এম্বুলেন্সে করে তাঁর মরদেহ নিয়ে রওনা হয়ে শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে বাড়ীতে এসে পৌছায়। পরবর্তীতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা শেষে রাত ১১ টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। স্বাস্থ্যবিধি পালনের বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেন উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর তাপস চক্রবর্তী।
বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষক এস,এম, মাহবুবুর রহিম জানান, জিয়াউল হক খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা ক্যাম্েপ কর্মরত অবস্থায় হার্ট এটাকের শিকার হলে তাকে প্রথমে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। পরবর্তীতে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে চট্রগ্রামের সম্মেলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মারা যান তিনি। আজ সকালে চট্টগ্রাম থেকে রওয়ানা দিয়ে তার লাশ নিজ বাড়ীতে আনা হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এ সময় দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এরশাদ মিয়া, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধিবৃন্দ, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ের সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।