বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। ভারতের মেঘালয়ে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢল ও সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণের কারণে ৩য় দফা বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আবারও দুর্ভোগের মুখে হাওরাঞ্চলের মানুষ। রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধি এখনো অব্যাহত রয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় সুরমার পানি বিপৎসীমার ৭.৮০ অতিক্রম করে বিপৎসীমার ৮.০৫ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ২৫ সে.মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে সুরমার তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় আবারও বন্যা দেখা দিয়েছে। সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুরসহ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে এখনো ছাতক, দোয়রাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও জেলার বাকি ৭ উপজেলায়ও বন্যা দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষ আবারও বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছে।
এদিকে নতুন করে সোমবার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের কাজির পয়েন্ট, নবীনগর, ষোলঘর, উকিলপাড়া, মধ্যবাজার, তেঘরিয়া, সাববাড়ি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার ঘরবাড়ি ও সড়ক নিমজ্জিত হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় আরো বড় ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য সুনামগঞ্জে গত ২৬ জুন থেপেল ২৯ জুন পর্যন্ত প্রথম দফা বন্যা হয়। এতে সড়ক, ও মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। ৯ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা বন্যায়ও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। সেই বন্যার ক্ষত না শুকাতেই তৃতীয় দফা বন্যায় আবারও বড় ক্ষয় ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন গতকাল চেরাপুঞ্জিতে ৩২৮ মি.মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই পানি সুনামগঞ্জে এসে নামায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান জানান, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিহতে গত দুই দিন ধরে ভারী বর্ষণ হচ্ছে। এতে সুরমা নদীসহ বিভিন্ন নদ নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরো কয়েকদিন থাকবে বলে জানান তিনি।
(ছবিটি ফেইসবুক থেকে মাম্পি চৌধুরীর ওয়াল থেকে নেওয়া)