ছাতক প্রতিনিধি ::
টানা তৃতীয় দফা বন্যায় ছাতকে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়ে পড়েছে। চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে দিনানিপাত করছে এখানের বন্যাকবলিত কয়েক লাখ মানুষ। প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বন্যার ভোগান্তি শেষ হতে না হতেই তৃতীয় দফা বন্যায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে এখানের মানুষ। কাঁচা-পাকা রাস্তাঘাট, শ শ ঘরবাড়ি ও বসতভিটা বানের পানিতে ভেঙে গেছে।
রাস্তা-ঘাট ভেঙে যাওয়া যোগাযোগ ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। টানা দুই দফা বন্যায় গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এখন তৃতীয় দফা বন্যায় এসব সড়কের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঘনঘন বন্যায় ভোগান্তির পাশাপাশি চরম খাদ্যাভাব ও বিশুদ্ধ পানযোগ্য পানির সংকটে পড়েছে বন্যাকবলিত মানুষ। টানা তিন দিন ধরে চলা মুষলধারে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তৃতীয় দফা বন্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করার আশঙ্কায় রয়েছে এখানের মানুষ।
সুরমাসহ চেলা ও পিয়াইন নদী পানিবৃদ্ধি অব্যাহত। এর মধ্যেই শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট ছাড়া সব সড়কই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বিছিন্ন হয়ে পড়েছে শহরের সাথে সব অঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এর মধ্যেই বহু মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। শহর কিংবা শহরের আশপাশের পানিবন্দি মানুষ সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ বা সহ্য়াতা পেলেও পানিবন্দি বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠী থেকে যাচ্ছে সাহায্য-সহায়তার বাইরে। যার ফলে কাঁচা ঘর-বাড়িতে বসবাসরত বিশাল গ্রামীণ জনগোষ্ঠীই মূলত বন্যাকবলিত হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
গত ২৮ জুন থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত দফায়-দফায় বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এখানের কৃষকরা। শাক-সবজির বাগান ও আমন বীজতলা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। নতুন করে বীজ সংগ্রহ ও বীজতলা প্রস্তুতের জন্য কৃষকদের সকল পরিকল্পনাও ভেস্তে গেছে তৃতীয় দফা বন্যায়। এখন আমন ফসল চাষাবাদ নিয়ে দিশেহারা এখানের কৃষকরা।