হাওর ডেস্ক::
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৭৭২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৯৬৫ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৬ হাজার ২২৫ জন।
আজ সোমবার (২৭ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ২৬ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। এঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে আটজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৯৬৫ জনের।
এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৩৩২ জন এবং নারী ৬৩৩ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৯৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪২২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৮৫৯ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ৩৫৪ জন।
জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের তিনজন এবং বরিশাল বিভাগের দুইজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৩ জন এবং বাসায় চারজন।
বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৪৩২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭২৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৭৪ জন, খুলনা বিভাগের ২০৮ জন, বরিশাল বিভাগের ১১২ জন, সিলেট বিভাগের ১৪০ জন, রংপুর বিভাগের ১১১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৬২ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮০১ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ২৫ হাজার ৬৮৩ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৫৪৪টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৮৫৯টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৭৭২ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ২৬ হাজার ২২৫ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ২৪ হাজার ৪১৭টি।
ঢাকাসহ সারা দেশের ৮১টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষার পর এই ফল জানা গেছে বলে ব্রিফিংয়ের জানানো হয়।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৫৫০ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬৭৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪৭ হাজার ৭৭৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৬৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার সাতজন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন দুই হাজার ৪৫১ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ২৭ হাজার ৯৯৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৮৬০ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৬৯ হাজার ৬০৭ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৮ হাজার ৩৯০ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৭৮ হাজার ৪৫৫টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্যতথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন চার হাজার ৬২৯ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৩৪ হাজার ৪০০ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।