তমাল পোদ্দার, ছাতক:
ছাতকের দোলারবাজার ইউনিয়নের বুরাইয়া বাজারে বসেছে গরু-ছাগলের অবৈধ হাট। স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি এ অবৈধ পশুর হাটের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে আশপাশের বৈধ পশুর হাটে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে। উচ্চ মূল্যে ইজারা গ্রহণকরা উপজেলার জাউয়াবাজার, দোলারবাজার, রসুলগঞ্জ বাজারসহ অন্যান্য পশুর হাট ইজারা গ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা অবৈধ পশুর হাটের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এভাবে গরু-ছাগলের অবৈধ হাট বসলে আগামীতে বৈধ ইজারা গ্রহীতাগন ইজারা গ্রহনে অনেকটা অনিহা প্রকাশ করতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বছর ইজারা গ্রহনের মাধ্যমে বুরাইয়া বাজারে কোরবানীর বৈধ পশুর হাট বসেছিল। সম্প্রতি ঘন ঘন বন্যা ও করোনা ভাইরাসের কারনে সরকারিভাবে এখানে পশুর হাট বসানোর কোন অনুমোদন দেয়া হয়নি। জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে এ উপজেলায় নতুন করে ৪টি স্থানে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। উন্মুক্ত টেন্ডারের মাধ্যমে উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাসনাবাদ বাজারে, নোয়ারাই ইউনিয়নের চৌমুহনী বাজারে, ইসলামপুর ইউনিয়নের ইসলাম বাজারে ও ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের সোনালী বাংলাবাজারে পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দেয়া হয়। গত ২৩ জুলাই কোরবানীর ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিরাজগঞ্জ বাজারে গড়ে উঠা গরু-ছাগলের অবৈধ হাট উচ্ছেদ করেন স্থানীয় প্রশাসন। বাজার পরিচালনা কমিটির নেতৃত্বে বিনা ইজারায় বসানো গরু-ছাগলের অবৈধ হাট উচ্ছেদ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম কবির। সহকারী কমিশনার (ভ’মি) তাপস শীল এ ব্যাপারে জানান, বুরাইয়া বাজারে পশুর হাট বসানোর সরকারি কোন অনুমতি নেই। হাটটি উচ্ছেদে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এদিকে বুরাইয়া বাজারে অবৈধভাবে পশুর হাট বসানোর ফলে প্রভাব পড়েছে বৈধ ইজারা নেয়া জগন্নাথপুর উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজার পশুরহাটে। রসুলগঞ্জ বাজার পশুর হাটের ইজারাদার এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুরাইয়া বাজারের পশুর হাট উচ্ছেদের নির্দেশনাও রয়েছে।