হাওর ডেস্ক::
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন ৮৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ১৫৪ জন। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জন।
আজ রবিবার (২ আগস্ট) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ১৭ জন পুরুষ এবং পাঁচজন নারী। এঁদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে দুইজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ১৫৪ জনের।
এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৪৭৯ জন এবং নারী ৬৭৫ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২০৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৩৯ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯০৯ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ৪৬২ জন।
জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের আটজন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগের তিনজন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন, রংপুর বিভাগের একজন এবং সিলেট বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২০ জন এবং বাসায় দুইজন।
বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৫০৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৬৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৯০ জন, খুলনা বিভাগের ২২৯ জন, বরিশাল বিভাগের ১২৬ জন, সিলেট বিভাগের ১৫২ জন, রংপুর বিভাগের ১১৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৬৮ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫৮৬ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৩৬ হাজার ৮৩৯ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে তিন হাজার ২১৩টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে তিন হাজার ৬৮৪টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ৮৮৬ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৮৯ হাজার ২৯৫টি।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৩২৪ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৮৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৫১ হাজার ৮০৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৭২০ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন ৯৯২ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ৩৯ হাজার ১৩৩ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৮৯৫ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৮৩ হাজার ৭৬৪ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৫ হাজার ৩৬৯ জন।
সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৪৯ হাজার ৮৪০টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্যতথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন ৪৩২ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৫৪ হাজার ১৯৯ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।