অনলাইন ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৯১৮ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৩৪ জন। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৪ হাজার ২০ জন।
আজ মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৪৪ জন পুরুষ এবং ছয়জন নারী। এঁদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৩৪ জনের।
এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৫৪৯ জন এবং নারী ৬৮৫ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৭ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৪৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯৩০ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ৫০৭ জন।
জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ২৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচজন, খুলনা বিভাগের চারজন, রাজশাহী বিভাগের পাঁচজন, ময়মনসিংহ বিভাগের একজন, রংপুর বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের একজন এবং বরিশাল বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৪৫ জন এবং বাসায় পাঁচজন।
বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৫৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৭৫ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৯৮ জন, খুলনা বিভাগের ২৩৭ জন, বরিশাল বিভাগের ১২৭ জন, সিলেট বিভাগের ১৫৪ জন, রংপুর বিভাগের ১২৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৭০ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৫৫ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৩৯ হাজার ৮৬০ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে আট হাজার ১২৩টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে সাত হাজার ৭১২টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে এক হাজার ৯১৮ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৪৪ হাজার ২০ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ এক হাজার ২৫৬টি।
ব্রিফিংয়ের শুরুতেই জানানো হয়, করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষায় দেশে আরো একটি বেসরকারি পরীক্ষাগার সংযোজিত হয়েছে। এটি হচ্ছে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল। এ নিয়ে করোনা পরীক্ষায় দেশে মোট পরীক্ষাগারের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৩টিতে।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৩৭৪ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭০৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৫২ হাজার ৬৪৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪ হাজার ১৫৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৪৯১ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক হাজার ৭০০ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ৪১ হাজার ৮৩২ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৪৩৮ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৮৭ হাজার ৭১৬ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৪ হাজার ১১৬ জন।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৭১ হাজার ৭৩টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ফোনকল এসেছে এক কোটি ৮১ লাখ ৮২ হাজার তিনটি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্যতথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন চার হাজার ৩৯৭ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৬০ হাজার ৬২৭ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।