আমিনুল হক ওয়েছ
নতুন সিইসি দায়িত্ব নেওয়ার পর উপজেলা নির্বাচনসহ কয়েকটি নির্বাচন হয়ে গেলো। তবে এখন চলছে এইসব নির্বাচনাত্তোর আলোচনা। অনদিকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিতে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে আগামী জাতীয় নির্বাচন ইস্যু। এ থেকে রাজনৈতিক ফসলকে কিভাবে ঘরে তুলবে তা নিয়ে চলছে চাল, পাল্টা চাল ও নানান হিসেব-নিকেশ।
এরই অংশ হিসেবে একে অন্যের ওপর মনস্তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিশেষ করে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি একে অন্যকে চাপে ফেলে নির্বাচন-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে নিতে চাইছে, যাতে ফল তাদের পক্ষে যায়।
জাতীয় পার্টি এখন পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে থাকলেও দলটির ভবিষ্যৎ ভূমিকা কী হবে তা এখনো নিশ্চিত নয়। আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলও চাইছে ক্ষমতার অংশীদারত্ব। যদিও ক্ষমতাসীন ১৪ দল ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের বাইরে থাকা ওই দলগুলোর মধ্যে ‘তৃতীয় একটি ধারা’ গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু নানা হিসাব-নিকাশে ওই ধারা বাস্তবে রূপ লাভ করেনি। ফলে এখন তারাও নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সময়ের অপেক্ষায় রয়েছে। পরিস্থিতি ও সুবিধা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে চায় ওই দলগুলোও। এই হলো বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতির কিছু চালচিত্র ।
এবার তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতির কিছু চিত্র তুলে ধরি। কেননা তৃণমূল রাজনীতিকে বাদ দিয়ে জাতীয় রাজনীতি কখনো চলতে পারেনা । বিশেষ ইদানিং শেষ হয়েছে উপজেলা নির্বাচন। আমি উদাহরন হিসেবে সুনামগন্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নির্বাচনাত্তোর দু-একটি কথা লিখবো। জগন্নাথপুরের স্থানীয় রাজনীততে অনেকেই হিসেব মিলান এভাবে; এবং বলেন, ভোট আসল – ভোট গেল, বঙ্গবন্ধুর নৌকা ডুবল, শেখ হাসিনার নৌকা ডুবল ! কিন্তু কেন এমন হল? কি কারনে এমন হল? কার কারনে এমন হল? এই সব প্রশ্ন থেকেই যায়, এসব কিছু বাদ দিয়ে পত্র পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে এত লিখা-লেখি সামাদ আজাদের গ্রামে নৌকার ভরা ডুবিসহ আর অনেক কিছু। একবার গণনা করেনতো (নৌকা ১০৫ + স্বতন্ত্র ৪৮ =১৫৩) আর ধানের শীষ ১১৬। যারা ভূরাখালী ভোট কেন্দ্র কিংবা সামাদ আজাদ এর গ্রাম নিয়ে লিখছেন তাদের কাছে আমার প্রশ্ন স্বতন্ত্র প্রার্থী কার? যোগফল যদি আমাদের হত তাহলে অবশ্যই নৌকা বিজয়ী হত তাইনা? তাই সবিনয়ে বলছি বিশেষ করে আমার আওয়ামী পরিবারের নেতৃবৃন্দ শর্ষে ক্ষেতের ভূঁত তাড়ান। বুঝেন-হিসাব মিলান তার পর নিজ অবস্থান থেকে প্রয়াত একজন জাতিয় নেতার নামে লিখালেখি করেন।
হে, এখন বলতে পারেন আগেতো কখন ভুরাখালীতে ধানের শীষ ভোট পায়নি এখন কেমনে কি? হে, আগে এক সময় ছিল দাদা বলেছেন কলাগাছে ভোট দিতে, গ্রামের সবাই কলা গাছে ভোট দিয়েছ। কিন্তু এখন আর সেই দিন নাই জনাব, সময় বদলাইছে। আপনার ছেলেও আপনার মতাদর্শের না। আমি ব্যক্তিগত ভাবে আমাদের জগন্নাথপুরের অনেক আওয়ামী লীগ পরিবারের নেতাকে জানি যাদের ছেলে-ভাতিজা বি.এন.পি, জামাতের সাথে জড়িত। লিখতে চাইনা ! আমার লিখা অন্য কাউকে আঘাত করুক তা চাইনা। শর্ষে ক্ষেতের ভূঁত তাড়ান ।